আয়াত খুনের মামলায় আবিরের মা-বাবা গ্রেফতার, তিন দিনের রিমান্ড
চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকন্যা আয়াতকে অপহরণের পর খুন করে লাশ ছয় টুকরো করে খালে-সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার রহস্য উদ্ঘাটনে এবার অভিযুক্ত আবির আলীর পিতা-মাতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গ্রেপ্তারের পর আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অপহরণ ও খুনের পর লাশ ছয় টুকরো করার কারণ বের করতেই পিতা-মাতাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পিবিআই।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায়। এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে বন্দরটিলার বাসা থেকে আবির আলীর পিতা ভ্যানচালক আজহারুল ইসলাম ও মা আলেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
আয়াত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক মনোজ দে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ২৪ নভেম্বর রাতে ইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার বাসা থেকে আয়াতদের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন থেকে চলা অভিযানে আয়াতের রক্তমাখা কাপড় ও স্যান্ডেল উদ্ধার করলেও এখনও উদ্ধার হয়নি হাড়গোর। আসামি আবির আলীকে নিয়ে পিবিআই সাগরপাড়ে টানা তিন দিন অভিযান চালালেও কোনো হদিস পায়নি। গত ২৫ নভেম্বর নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সেই নিখোঁজ রহস্য উদ্ঘাটন করে পিবিআই।
একইসঙ্গে গ্রেফতার আবির আলী স্বীকার করেন—মুক্তিপণ দাবির জন্যই আবির আলী তার বাড়িওয়ালার নাতনিকে অপহরণ করে। মেয়েটি চিৎকার করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরে লাশ গুম করতে ছয় টুকরো করা হয়। আয়াতের খণ্ডিত মাংসপিণ্ডগুলোও ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাগরে। তবে আসামি গ্রেফতারের পর খুনের ঘটনায় জড়িত এবং সব দায় স্বীকার করে।