মতলবে ঈদ সামনে রেখে গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে নিষিদ্ধ ওষুধ
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
Link Copied!
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মতলব উত্তর উপজেলার ব্যবসায়ীরা গরুকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ ডেক্সামেথাসোন খাওয়াচ্ছেন। এ ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে গরু দ্রুত মোটাতাজা হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এসব গরুর মাংস মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরপরই তাঁরা বেছে বেছে দুর্বল গরু কেনেন। কিছুদিন লালন-পালন করার পর গরুকে নিষিদ্ধ ভারতীয় ডেক্সামেথাসোন বড়ি খাওয়ানো হয়। এতে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গরু মোটাতাজা হয়। ফলে ঈদুল আজহায় হাটে ভালো দাম পাওয়া যায়।
নয়ন মিয়া নামে একজন বলেন, এ ব্যবসায় দেড় থেকে দুই মাস পরিশ্রম করলে বেশ ভালো টাকা রোজগার করা যায়। আর আমি কয়েকবছর হলো এভাবে গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করি। কেউ তো কোনো দিন বলেনি এটা খারাপ বিষয়।
এ ব্যাপারে পল্লী পশু চিকিৎসকদের সাথে আলাপচারীতায় জানা যায়, বলবর্ধক নিষিদ্ধ বড়ি খাওয়ানোর ফলে পশুর যকৃত্ ও কিডনিতে পানি জমে। ওই পানি শরীর থেকে বের হতে না পেরে মাংসে সঞ্চারিত হয়। ফলে গরু ফুলে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন চিকিৎসকরা বলেন, মোটাতাজা ওষুধ গরুকে অতিরিক্ত খাওয়ালে যেমন ক্ষতিকর, তেমনি এসব গরুর মাংসও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল চঁন্দ দাস বলেন, ডেক্সামেথাসোন জাতীয় ওষুধ গরুকে বেশি মাত্রায় খাওয়ালে অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে। এ ওষুধ খাওয়ানো ঠিক নয়। এ বিষয় খামারি সহ সাধারন মানুষকে আমরা সচেতনতা মূলক তথ্য প্রচার করে থাকি।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, স্টেরয়েড গ্রুপের এসব ওষুধ সেবনের কারণে দ্রুত মোটাতাজা হলেও গরু রোগাক্রান্ত ও নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং গরুর কিডনি, যকৃত, ফুসফুস, কলিজা ও মাংস নষ্ট হয়ে যায়। এসব ষাড়ের মাংস মানুষের জন্যও নিরাপদ নয়। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।