পিরানহা ‘রাক্ষুসে’ মাছগুলো কীভাবে আসছে বাংলাদেশে?
বিশেষ কিছু কারণে এই মাছ দুটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই মাছের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এর ছোট শক্তিশালী চোয়াল। এর দুই পাটিতে ত্রিশূলের মতো দাঁত এতোটাই ধারালো যে শিকারের দেহ এক নিমেষে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে।
অন্যদিকে আফ্রিকার মাগুর মাছ, দেশি মাগুর মাছের চাইতে আকারে বড় হয়। সর্বভুক হওয়ায় খুব দ্রুত এই মাছ বেড়ে ওঠে।
পিরানহা মাছ প্রজাতি ভেদে লম্বায় সাধারণত ৬ ইঞ্চি থেকে এক ফুট এমনকি দেড় ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, আফ্রিকান মাগুর মাছ দেখতে অনেকটা দেশি মাগুর মাছের মতো হলেও এর চোয়াল কিছুটা ছাড়ানো এবং দেশি মাগুরের তুলনায় অনেক বড় হয়।
একটি পরিণত আফ্রিকান মাগুর মাছ ৪ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। ওজন হতে পারে ১৫/১৬ কেজির মতো।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদের সাথে কথা বলে জানা গেছে পিরানহা এবং আফ্রিকান মাগুর দুটোই হল স্বাদু পানির মাংসাশী মাছ। পিরানহা মাছ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকা, উত্তর আমেরিকা এমনকি আফ্রিকার উষ্ণ অঞ্চলে নদীর অববাহিকা, খাল, হ্রদ বিশেষ করে অগভীর জলাশয়ে। আফ্রিকান মাগুর মূলত সারা বিশ্বের ছোট- বড় জলাশয়ে পাওয়া যায়।
ভীষণ নোংরা পানিতে এমনকি নর্দমা, পয়ঃনিস্কাশনের জলাধারে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে আফ্রিকান মাগুর স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনধারণ করতে পারে।
অনুকূল পরিবেশ পেলে পিরানহা মাছ ৮-১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
এরা দল বেঁধে চলাফেরা করে এবং শিকারের ওপর আক্রমণ করে একসাথে।
এরা যেখানে থাকে সেখানকার ছোট বড় মাছ, মাছের ডিম, পোনা সেইসঙ্গে অন্যান্য জলজ প্রাণী মুহূর্তের মধ্যে খেয়ে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে।
পিরানহা মাছ যদি কোন অবরুদ্ধ জায়গায় চাষ করা হয় এবং সেখানে যদি কোন মানুষ পড়ে যায় তাহলে পিরানহা ঝাঁক বেঁধে সেই জ্যান্ত ব্যক্তিকে এক নিমেষে খেয়ে সাবাড় করে ফেলতে পারবে।
সূত্র:-বিবিসি বাংলা