ভাইরাসের তাণ্ডব ও মানব অস্তিত্ব

অধ্যাপক মো. সেলিম
আপডেটঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০ | ১০:৩২
অধ্যাপক মো. সেলিম
আপডেটঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০ | ১০:৩২
Link Copied!
ভাইরাস বা অণুজীব মানব অস্তিত্বের সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িয়ে আছে। ভাইরাস আদিকালে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যতদিন মানুষ এই পৃথিবীতে থাকবে, ভাইরাস মানুষের পড়শী হয়ে আপন অস্তিত্বের জানান দিবে। ভাইরাস শব্দটি শুনলে যেন গা খিতখিত করে ওঠে। একটু অস্বস্তি লাগে। একটু দূরে সরে যেতে মন চায় বা পরিষ্কার হতে ইচ্ছে করে। অথচ অনুজীব বা ভাইরাস মানব অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আমরা ভাইরাসকে ভয় পাই কেন?
 ভয় পাই কারণ সব ভাইরাস মানুষের জন্য উপকারী নয়। অথবা মানুষ সব ভাইরাস কে প্রাকৃতিক ভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখেনা। অন্যভাবে বলা যায়, মানুষের ইউমিনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার চেয়ে ভাইরাসের শক্তি অনেক বেশি। উপকারী হাজার হাজার ভাইরাসের সাথে ক্ষতিকর ধ্বংসাত্মক কিছু ভাইরাস আছে। যাদের ধ্বংসাত্মক গতি প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের কারণে মানব অস্তিত্ব মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। কোটি কোটি মানুষ অসময়ে প্রাণ হারিয়েছে। সমাজ ব্যবস্থা ও অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছিল সীমাহীন বিপর্যয়। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোর অনেক সময় লেগেছিল। বা পূর্বাবস্থায় আর কখনোই ফিরতে পারেনি।
লেখক অধ্যাপক মো. সেলিম
 ভাইরাস এর ধ্বংসাত্মক তান্ডব সম্পর্কে  মানুষ জানে মাত্র আজ থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত। যিশুখ্রিস্টের জন্মের পূর্বের মাত্র কয়েক শত বছর এবং তার জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত। তার পূর্বে পৃথিবীতে মানবজাতি যে কতশত দুর্যোগ-দুর্বিপাক ও ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তার কোন ইয়ত্তা নাই। মানুষ বুদ্ধি, কৌশল ও অভিযোজন প্রক্রিয়ায় টিকে আছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার ফলে মানবজাতির টিকে থাকার সম্ভাবনা পূর্বাপেক্ষা অনেক শক্তিশালী হয়েছে। ইতিহাসে লিপিবদ্ধ ভয়ঙ্কর ভাইরাস প্রথমটি ছিল খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে সংঘটিত ‘দা প্লেগ অফ এথেন্স’। অদৃশ্য আক্রমণে কয়েকদিনের মহামারীতে মারা যায় ৩০,০০০ গ্রিক সৈন্য।  যা গ্রিক নগরটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। সেসময়ের ‘ভেরিওলা ভাইরাস’ মহামারীর কারণে স্পার্টানদের কাছে যুদ্ধে হেরেছিল অ্যাথেনিয়ানরা।
 জার্মানিতে ঘটেছিল ভাইরাসের দ্বিতীয় আক্রমণ। সময় ১৬৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১৫ বছর। তখন মুরগি থেকে ছড়িয়ে পড়ে ‘এন্টনি প্লেগ’। মানুষ তখন ভয়ে পশুর মাংস খাওয়া ছেড়ে দেয়।
 অতঃপর ‘সাইপ্রিয়ান প্লেগ’ পৃথিবীতে তাণ্ডব চালায় ২৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রায় ৩০০ বছর। পুরো রোমান সাম্রাজ্যকে একেবারে দুর্বল করে দিয়েছিল এই প্লেগ। হানা দেয় রাজপরিবারে। প্রাণ যায় রাজপরিবারের কয়েকজনের।
৫৪১ খ্রিস্টাব্দে মিশরে হানা দেয় ‘দ্যা প্লেগ অফ জাস্টিনিয়ান’। ৫০ বছর ধরে এই মহামারী প্রাণ নেয় প্রায় আড়াই কোটি মানুষের। ইঁদুরকে দায়ী করা হয় এই মহামারীর জন্য। একই মহামারী টিকে ছিল আরও প্রায় দুইশত বছর। প্রাণ যায় পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৬ ভাগ অর্থাৎ প্রায় 5 কোটি মানুষের। এতে ধ্বংস হয়ে যায় বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।
প্রত্যেকটি মহামারীতে আক্রান্তদের লক্ষণ প্রায় একই রকম। জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা, মাথা ধরা, বমি, ডায়রিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত এবং খুবই ছোঁয়াচে। সংস্পর্শে বা বাতাসে ভাইরাসটি ছড়াতে থাকে। ঠিক যেমনটি বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী তান্ডব সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস বা কোভিড- ১৯ মহামারী করে চলেছে।
‘বুবনিক প্লেগ’ বা ‘ব্ল্যাক ডেথ’। সময় ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দ। মাছি থেকেই ইদুরে এবং পরে মানবদেহে। শুরুটা চীনে হলেও বেশি ছড়ালো না সেখানে। সিল্করুট ধরে এবং নাবিকদের মাধ্যমে ভাইরাসটি চলে এল লন্ডনে। প্রাণ হারালো শত শত ধর্মযাজক এবং বড়লোকদের বড় অংশ। বেঁচে যাওয়া লোক গুলো পালিয়ে গেল অন্য জনপদে। তবে বিস্ময়করভাবে কিছুই হলো না দরিদ্র চাষীদের।  কঠোর পরিশ্রম করতো বলে তাদের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি ছিল। করোনা ভাইরাস দ্বারা বর্তমানে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সম্পর্কেও বিশেষজ্ঞরা একই কথা বলছেন যে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো ভাইরাসটি তাদের তেমন ক্ষতি করতে পারছেনা।
 ‘বুবনিক প্লেগ’ দ্বিতীয় বার লন্ডনে হানা দিয়েছিল ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে। এ বছর লন্ডনের মোট জনসংখ্যার 20 ভাগ লোক মারা গিয়েছিল। কুকুর বিড়ালকে এই মহামারীর জন্য দায়ী করে পিটিয়ে মারা হয় বহু কুকুর বিড়াল। যদিও সত্যিকার অর্থে কুকুর-বিড়ালের মাধ্যমে ‘বুবনিক প্লেগ’ ছড়ায়নি।
 প্লেগেরর তৃতীয় ধাক্কা আসে উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে। উৎপত্তি চীনের ক্যান্টন শহরে। ছয় মাসে সেখানে মারা যায় ৮০ হাজার লোক। ছড়িয়ে পড়ে হংকং ও গুয়াংছ্ঝ প্রদেশে। সেখান থেকে ভারত,  আফ্রিকা, ইকুয়েডর ও যুক্তরাষ্ট্রে। তান্ডব চলে  প্রায় বিশ বছর। প্রাণ যায় প্রায় ১ কোটি লোকের।
 যুগে যুগে মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ভাইরাস দ্বারা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির পূর্বে ভাইরাস থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছে মানুষ নানাভাবে। ওঝা-বৈদ্য, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ-কবজ, পানি পড়া, তৈল পড়া, গাছ-গাছালি দ্বারা তৈরি ঔষধ এমনকি ধর্মীয় রীতি- পদ্ধতি পালন করে চিকিৎসা করার চেষ্টা হয়েছে। সেই পদ্ধতি কতটা সফল হয়েছিল তা প্রশ্নাতীত নয়। তবে নানা কুসংস্কার ও ভুল ধারণা ছিল তখনকার চিকিৎসা পদ্ধতিতে। একসময় আমাদের দেশে ‘ওলাওঠা’  বা উদরাময়ে গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়েছে। মানুষ সেখান থেকে দূরের কোথাও চলে গেছে ওলাওঠা’ বা ‘কলেরা’ থেকে বাঁচার জন্য। সন্ধ্যার পর বাড়ীর চতুর্দিকে উচ্চকণ্ঠে কয়েকজন মিলে বড় খতমের দোয়া পড়তো। ওলাওঠা রোগীকে পানি খেতে দেওয়া হতো না। অথচ এখন এটা প্রমাণিত যে, ডায়রিয়া হচ্ছে পানিশূন্যতা জনিত রোগ। এমন রোগীকে পানি খাওয়াতে হয় পর্যাপ্ত। পানি না পেয়েই মারা গেছে অনেক লোক।
শুকরান হাসপাতাল
 অণুজীব বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা যায়, ভাইরাস তার গতি প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও রুপ পরিবর্তন করতে সক্ষম। ফলে টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরও একই ভাইরাস ভিন্নরূপে হানা দিয়েছে পৃথিবীতে বারবার। ফ্লুর ইতিহাস আরো ভয়ঙ্কর। সেটা কি ‘স্প্যানিশ ফ্লু’ নাকি ‘এশিয়ান ফ্লু’- সেটা বড় কথা নয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রচন্ড ধাক্কার পর পর সারা পৃথিবী জুড়ে তান্ডব শুরু হয় ‘দ্যা ইনফ্লুয়েঞ্জা পেন্ডেমিকের। এক বছরে কেড়ে নেয় এক কোটি মানুষের প্রাণ। যেখানে চার বছরের প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ হারায় 2 কোটি মানুষ। এই ফ্লু এর জন্মস্থান চীনে। শ্রমিকদের মাধ্যমে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে কানাডা হয় ইউরোপে। সেখান থেকে আমেরিকায়। তবে স্পেনের মাদ্রিদে ফ্লু টি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় নাম হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। ‘এশিয়ান ফ্রু’ আক্রমণ করে দুইবার। প্রথম বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে। হংকং থেকে চীনে। সেখান থেকে অন্যত্র। মৃত্যুপ্রায় ১৪ হাজার মানুষের। কিন্তু দ্বিতীয়বারের আক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। মারা যায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে থামানো যায় ফ্লুর মহামারীকে। এছাড়া আধুনিক পৃথিবীতে আরো নানা ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেমন এইচআইভি ভাইরাস বা এইডস, সার্স বা সিভিআর একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম, মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম সহ আরো অনেক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্রুত প্রতিষেধক আবিষ্কার  করায় মৃত্যুর মিছিল অনেক ছোট হয়ে আসে।
করোনাভাইরাস বা কোভিড ১৯ শুরু হয় ২০১৯ সালের একেবারে শেষ দিনটিতে। উৎপত্তি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান নগরে। এই ভাইরাসের উৎপত্তি সম্পর্কে বিতর্ক আছে। কেউ বলছে চীনের জীবানু ল্যাব থেকে। চীনসহ অনেক দেশ বলছে সামুদ্রিক ও বন্যপ্রাণী থেকে। আমাদের দেশে এই ভাইরাসটি আসে  ২০২০ সালের মার্চ মাসে। চীনের কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রথম থেকেই কড়াকড়িভাবে লকডাউন মানতে জনগণকে বাধ্য করে। চীনের রাস্তাগুলি তখন ছিল একেবারে জনশূন্য ভুতুড়ে। সমগ্র রাস্তায় মাঝেমধ্যে দু’একজন  অসহায় মানুষকে একা হেঁটে গন্তব্যে যেতে আমরা দেখেছি। এর ফলও তারা পেয়েছে। উৎপত্তি চীনে হলেও তাদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আমেরিকা এবং ব্রাজিলের চেয়ে অনেক কম। স্প্যানিশ ফ্লুর সময়ে অনেক দেশে মাস্ক ব্যবহারের আইন তৈরি হয়। নিষিদ্ধ হয় হাটে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে আর বাজারে মানুষের জটলা। কোভিড ১৯ সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে প্রত্যেকটি দেশকে নির্দেশনা দিয়েছে। যে দেশ নিয়ম মানেনি বা আংশিক মেনেছে, সে দেশ আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে পৃথিবী সেরা। আমেরিকায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ আর মারা গিয়েছে ১৮১০০০ প্লাস। ব্রাজিল দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে তাদের সাড়ে ৩৬ লাখ আক্রান্ত ও এক লাখ সাড়ে পনের হাজার মানুষের মৃত্যুর সুবাদে। ভারত আছে পৃথিবীর র‍্যাংকিং এ তৃতীয় স্থানে। বাংলাদেশের অবস্থা এশিয়াতে দ্বিতীয়। আর বিশ্বে টপ টেন এ উঠানামা করে।
 কোভিড ১৯ এর কার্যকর ভ্যাকসিন আসতে আরও সময় লাগবে। তাই এর থেকে বাঁচার বিকল্প হল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, ঘনঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং সর্বোপরি অন্তত তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা। এই লকডাউন সম্পর্কে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম ১৫ শত বছর পূর্বে বলেছেন। তিনি বলেছেন, “কোথাও মহামারী দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা ছেড়ে চলে এসো না। আবার কোন এলাকায় দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে স্থানে গমন করো না।” তিনি আরো বলেছেন, “মহামারীতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তি কে পাপী-জাহান্নামী মনে করা যাবে না বরং এমন মৃত ব্যক্তি পাঁচ প্রকার শহীদের অন্তর্ভুক্ত।
 করোনার সংক্রমণের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশে দাড়িয়ে প্রণোদনা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। রোগী শনাক্ত ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে  এবং করছে। বিভিন্ন বিমানবন্দরের যাত্রীদের স্ক্রীনিং এবং বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া প্রবাসী এবং ছাত্র ব্যবসায়ী ও রোগীদেরকে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফেরত এনেছে। গরিব, খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, নগদ অর্থ প্রদান সহ বিভিন্ন ধরনের জনহিতকর কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে। এরমধ্যে অনেক দুর্নীতিবাজ লোক সরকারের মহৎ কর্মকান্ডকে  তাদের হীন ও ঘৃণ্য কাজ দ্বারা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সরকার তার প্রতিকারও চালিয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ, অধিকাংশ মানুষই এখানে শ্রমজীবী। তাই বেশিদিন কর্মজীবীদের ঘরে আবদ্ধ রাখা যায়না। জীবিকার চেয়ে জীবন বড় – বলা হলেও এটাও সত্য, জীবিকা ছাড়া যে জীবন চলে না। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ক্রমান্বয়ে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুহার বাড়ছে। তবে জনগণ নিজ থেকে সচেতন হলে আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বেঁচে যাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হাত থেকে। এক্ষেত্রে সচেতনতা, স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন বিকল্প নেই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
চাঁদপুর জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা মসজিদের দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫ ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে চাঁদপুরে ঝড় বৃষ্টি : সবরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ মতলব উত্তরে নুরুল হুদা স্মৃতি সংসদের বিনামূল্যে চোখ অপারেশন সচিবালয়ে আটক শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৮ জনের মুচলেকায় মুক্তি, বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চট্টগ্রামে টায়ারের কারখানায় আগুন আলোচিত সেফুদার ভাই পানিতে ডুবে মারা গেছেন হাজীগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮০ জন মৎস্য চাষীকে  পোনা মাছ বিতরণ চাঁদপুরে পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সভা ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ? সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক চাঁদপুরে ৯ লাখ ১ হাজার মিটার জালসহ ২৭ জেলে আটক হাজীগঞ্জে আইদি বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ: চালকের মৃত্যু কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকালে তিন ভারতীয় আটক ফের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লেন ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সচিবালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী ছাত্র আন্দোলনে নিহত-আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ কেন নয়? রাষ্ট্রপতির ‘সম্ভাব্য বিদায়’ নিয়ে কী ঘটছে কচুয়ায় বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত  কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে চাঁদপুর লেখক পরিষদের সাহিত্যপাঠ ও আলোচনা