স্কুল শিক্ষককে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন
জেলার হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের উত্তর পাড়া বগুলা গ্রামের মৃতঃ সরদার নোয়াব আলী ছেলে ৫৪নং উত্তর পাড়া বগুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোঃ মুকবুল হোসেন (রুবেল) ও তার বড় ভাই মোঃ মফিজুল রহমানের সাথে তাদের পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া লাগে।
রুবেলের বড় ভাই মফিজুর রহমান এক পর্যায় মুকবুল হোসেনকে মেরে গাছে সাথে বেঁধে রাখে। এ নিয়ে মোঃ মুকবুল হোসেন হাইমচর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গতকাল ৯ আগষ্ট সকাল ১০টায় হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে পাড়া বগুলা গ্রামে স্কুল শিক্ষকরে উপর এ ধরনের অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায় হাইমচর উপজেলার পাড়া বগুলা গ্রামের দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মফিজ মাস্টার ও তার ছোট ভাই মকবুল মাষ্টারের সাথে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। অভিযোগ সুত্রে আরোও জানাযায় ঐদিন মফিজুর রহমান ও তার লোকজন মুকবুল মাষ্টারকে রোলার দিয়ে মেরে গাছের সাথে বেধে রেখে।
এ ব্যাপারে মকবুল হোসেন বলেন, আমার ভাই আমাকে আমার পৈত্তিক বাড়ির থেকে জোর পূর্ব বের করে দিতে চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে আমি হাইমচর থানা ২ বার অভিযোগ করলে কোন বিচার পাইনি। আমার পরিবারের উপর নির্যাতন করলে আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধোর করে। আজ আমাকে মফিজ মাষ্টার মেরে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেধে রাখলে এলাকার লোকজন আমাকে ছেড়ে দিতে সহয়তা করেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মফিজুর রহমান ফোনে জানান, রুবেল একটা পাগল। মাঝে মাঝে পাগরামী করে। রুবেল মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো তাই বেধে রেখে ছিলাম।