ক্ষয়িষ্ণু রাজনীতি ও সমকালীন বাস্তবতা
সাম্প্রতিককালে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে অনেক বিজ্ঞজনরাও অপরাধীদের ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ চাচ্ছেন। একটি সমাজের ভেতরে কতোটা ক্ষত তৈরি হলে এমন মনোবৈকল্যের প্রকাশ ঘটতে পারে, বাংলাদেশ আজ তার বাস্তব উদাহরণ। আমাদের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের বিচার লাভের নিশ্চয়তা দিয়েছে। অথচ এখন কোনো ঘটনার বিচার না চেয়ে অনেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গরা ফাঁসি চাচ্ছেন। এর মানে হত্যা কামনা করা হচ্ছে। অথবা তারা ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ বা এনকাউন্টার প্রত্যাশা করেন।
কয়েকদিন আগে খোদ সংসদে দাঁড়িয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক প্রতারক শাহেদের ক্রসফায়ার চাইলেন বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদ। একজন আইন প্রণেতা তার নাগরিকের বিনা বিচারে হত্যা চাইবেন- ব্যাপারটি কিন্তু স্বাভাবিক নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন অনেক ইস্যুই স্বাভাবিকতার আবরণে মোড়ানো হচ্ছে, অথবা সাধারণ আবহে দৃশ্যমান করে তোলা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিয়মিতই বন্দুকযুদ্ধে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এভাবে কোনো দেশের মানুষের নিয়মিত প্রাণ সংহার সামাজিক সুস্থতা ও সভ্য রাষ্ট্রের পরিচায়ক নয়; এটি নিষ্ঠুরতা, অমানবিক।
পুঁজিবাদের একচ্ছত্র প্রাধান্য এবং জনবিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রীয় নীতির বিস্তৃতিতে নানাবিধ নেতিবাচক উপসর্গ আজ সমাজজীবনকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করছে। এর মাধ্যমেই সামাজিক, নৈতিক ও মানবিকবোধের স্খলন ঘটছে। সমাজে সামগ্রিক অবক্ষয় প্রসার লাভ করেছে। ফলে মানুষের মনন স্বাভাবিক সুস্থতা হারাচ্ছে। অনিয়ম নিয়মে পরিণত হচ্ছে। সমাজে একের পর এক প্রসব হচ্ছে দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, প্রতারক ও দুর্বৃত্তদের বহর। ঘটছে অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা। রাজনীতির আদর্শচ্যুত অংশীজনরাই হলো বর্তমানের সবচেয়ে সমালোচিত ও ধিকৃত রিজেন্টের শাহেদ, জেকেজির আরিফুর, ডা. সাবরিনা ও স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া ঠিকাদার মিঠুরা।
কভিড-১৯ কেলেংকারির খলনায়ক শাহেদের আমলনামা জাতীয় ক্ষেত্রকে ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তিকে যখন নিদারুণ সংকটে ফেলে দিয়েছে, ঠিক তখন ক্ষমতাসীনরা অযথাই এই প্রতারকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে লুকোচুরি করছে। ক্ষমতাকেন্দ্রীক ক্ষয়িষ্ণু রাজনীতিই তো শাহেদদের বেড়ে ওঠার পথ তৈরি করে দিচ্ছে।
ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কোথায় বিচরণ ছিলো না সাহেদের? কোন পরিচয়ে সে দেশি-বিদেশি ভিআইপিদের এতো কাছাকাছি যেতে পেরেছে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার যেসব ছবি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান, র্যাব, ডিজি, বিজিবির ডিজি, সাবেক-বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে তার একান্ত হাস্যোজ্জ্বল ছবি। শুধু কি তাই, বাংলাদেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ও বর্তমান তথ্যমন্ত্রী, এক বিচারপতি, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী এবং আওয়ামী ঘরানার দুই সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে শাহেদের ছবিও ভাইরাল হয়েছে। বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল আই’ এর তৃতীয় মাত্রায় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য পরিচয়েও টকশো-তে অতিথি হয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে তার এপ্রোচ আর ভিআইপিদের এপ্রোচ বলছে শাহেদের বিষয়ে জানাশুনা ছিলো উপরতলার ওইসব মানুষের। ছবিগুলোর বাহ্যিক প্রকাশ সেটিই স্পষ্ট করেছে।
শাহেদ, আরিফুল, সাবরিনা, পাপিয়ারা দুর্বৃত্তায়িত ও লুটেরা রাজনীতির সুযোগ নিয়েই দলবাজ-তাবেদার বনেছেন। ফলে তারা প্রতারণা, লুটেরাবৃত্তির মাধ্যমে তাদের স্বার্থকে চরিতার্থ করেছে। শুধু শাহেদ গংরা কেনো? এখন তো দেখি, শিক্ষক- চিকিৎসক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবী-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, এমনকি আলেম সমাজের কিছু প্রতিনিধি ও সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীসহ এমন অনেক পেশাজীবী নীতি-নৈতিকতার মাথা খেয়ে অপরাজনীতির অন্দরের স্তাবক ও তাবেদার হচ্ছেন। যারা সবসময় ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চান। নানান ডালপালা ব্যবহার করে ক্ষমতার শীর্ষ মহলের সাথে একধরণের বন্ধন তৈরি করেন ওইসব সুযোগ সন্ধানীরা। তারা ভালো করেই জানেন ক্ষয়িষ্ণু এবং দুরাচারী রাজনীতির ছত্রচ্ছায়ায় তাবেদার–দলবাজি করলে সরকার ও তার লোকদের কাছাকাছি থাকা যায়। এর সুবাধে নিজের আখেরও গুছানো যায়। পরিণামে তাদের অনেকে সরকারকে বেকায়দায়ও ফেলে। শাহেদ, পাপিয়া, জিকে শামীম, ডা. সাবরিনা ও মিঠুদের আওয়ামী লিংকের মতোই তারেক রহমানের সাথে ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার।
অথচ সরকারকে পথ দেখাতে বা তাদের ভুল নীতির যারা ন্যায়সঙ্গত সমালোচনা করে তারা সরকারের শত্রুজ্ঞানে বিবেচিত হয়। তাদের নানা অপবাদ দেয়া হয়। কারো কারো বিরুদ্ধে এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাও হয়- জেল জুলুমের শিকারে পরিণত করা হয় তাদের।
প্রশ্ন হলো- আকামের হোতা শাহেদ পাপুল মিঠু পাপিয়া সম্রাট খালেদ সাবরিনা শামীম গংদের খোঁজ পায় না কেনো দেশের এতো গোয়েন্দা সংস্থা। বড় বড় কাণ্ডে নিজেই প্রকাশ না হলে আড়ালেই থেকে যায় তারা। এমন হাজারো রিজেন্ট শাহেদ, জেকেজি সাবরিনা, মিঠু, পাপিয়া ও মানবপাচারক পাপুল ঘুরে বেড়াচ্ছে ক্ষমতাশালীদের চত্রচ্ছায়ায়। যেখানে সবুজ সংকেত না মিললে সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিধি ও আইনের প্রয়োগে অপারগ থাকেন। অথবা তাদের নিজেদের দক্ষতা ও সক্ষমতা এবং যৌক্তিক সাহসেরও সংকট রয়েছে বলা যায়।
জাকির মজুমদারের আরো লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন-
করোনায় হাজীগঞ্জের ব্যবসায়ী ও নেতৃত্বের সংকট এবং বাণিজ্যিক শহর
সরকার ও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকরা আমাদেরকে সিঙ্গাপুর, কানাডা ও ইউরোপের স্বপ্ন দেখালেও বাস্তবতা আন্দাজ ছিলো। বৈশ্বিক মহামারি কভিড-১৯ এখন আমাদের জাতীয় পর্যায়ের মৌলিক দুর্বলতাগুলোকে আরও খোলাসা করেছে। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করে কথিত উন্নয়নের রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় সামর্থ ও দক্ষতা এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার খোলসও স্পষ্ট করেছে। একইসঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জাতীয় ঐক্যের ধারণা খুব বাজেভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এমনকি মানবিক ও সভ্য জাতি হয়ে ওঠার ন্যূনতম দাবি করার পর্যায়েও আমাদের অবস্থান নেই। এসবের জন্য দায়ী যেমন জনকল্যাণহীন, জনবিচ্ছিন্ন, পুজিবাদী ও ক্ষমতালিপ্সু রাজনীতি তেমনি স্বার্থান্ধ ও আত্মকেন্দ্রিক সামাজিক বলয় সৃষ্টি হওয়া।
দেশে ৮ মার্চ কভিড-১৯ সনাক্ত হওয়ার পর ১৮ মার্চ থেকে কয়েক দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও ১৫ দিনের জন্যেও দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করার হিম্মত রাখেনি সরকার। অপরদিকে মহামারির মাঝামাঝি এসে জুনের ১ তারিখ থেকে আয়েশি সাধারণ ছুটিও তুলে নেয়া হলো। কারণও আছে, এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুধার্ত মানুষ ত্রাণ লুট ও খাবারের জন্য রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছিলো। তাই সাধারণ ছুটি উঠিয়ে মানুষকে এই মহামারীতে নিজে কর্ম করে জীবন বাঁচার রাস্তা করে দেয়া হলো।
রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ২০১৯-২০২০ পরিসংখ্যানে উল্লেখ রয়েছে দেশে মোট দরিদ্রের সংখ্যা ২০.৫ ভাগ। আর হতদরিদ্রের সংখ্যা ১০.৫ ভাগ। তাহলে মোট ১৬ কোটি জনসংখ্যার হিসেবে ৩ কোটি ২৮ লাখ মানুষ দরিদ্র। এর মধ্যে হতদরিদ্র প্রায় পৌনে ২ কোটি। তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে ইউরোপের কাতারে নিয়ে যাওয়া দেশের হতদরিদ্র লোকদের দেড়-দুই মাসের চাহিদা মিটিয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করে কভিড-১৯ এর বিস্তৃতি কেনো ঠেকাতে ব্যর্থ হলো সরকার।
গেলো অর্থ বছর পর্যন্ত আমাদের জিডিপি’র গ্রোথ ছিলো ৮ ছুঁই ছুঁই। একই সঙ্গে মাথাপিছু আয় ১৯০৯, যা বর্তমান অর্থবছরে ২১০০ ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অথচ প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের দরিদ্র থাকা এবং কভিড-১৯ এর থাক্কায় দেড় কোটি কর্মক্ষম লোকের কর্মহীন হওয়ার মাঝে প্রশ্ন আসতেই পারে জিডিপির গ্রোথ ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির অর্থ কাদের মুষ্টিবদ্ধ বা হস্তগত হয়ে আছে। সাধারণ উত্তর হলো- দেশে খুব বড় ধরনের বৈষম্যের দেয়াল তৈরি হয়েছে। দরিদ্র ও হতদরিদ্র ছাড়াও দেশে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত অনেক পরিবারে এখন বোবাকান্না চলছে।
জাকির মজুমদারের আরো লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন-
https://www.facebook.com/102516664736707/posts/148111896843850/?sfnsn=mo
কভিড-১৯ মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মতই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ লজিস্টিক সাপোর্টে পারস্পরিক মতৈক্যে পৌঁছাতে দেখেছি। এ নিয়ে কয়েক দফা ভিডিও সংলাপ বা কনফারেন্সও হয়েছিলো বিভিন্ন দেশের মধ্যে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন আমাদের প্রতিবেশি ভারত, নেপাল, ভুটান এবং পাকিস্তানেও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে কভিড-১৯ প্রতিরোধ সেল গড়ে তোলা হয়। কভিড ইস্যুতে আওয়ামী লীগ সরকারের এমন অবজ্ঞা ও উন্নাসিকতা দেখানোর ফল অবশ্য জাতি ভোগ করছে।
২০১৮ সালে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রমিজউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের দুই ছাত্র-ছাত্রীর সড়কে নিহতকে কেন্দ্র করে সারা দেশে তীব্রবেগে সড়ক আন্দোলন শুরু হয়। ওই সময় শিক্ষার্থীরা নানান ব্যানার, ফেস্টুন ও শ্লোগানের মাধ্যমে ‘রাষ্ট্রের মেরামত’ দাবি করেন। কভিড-১৯ এখন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে সত্যিই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের দক্ষতা, সমন্বয়, অভিজ্ঞতা ও দায়িত্ব পালনের সীমাবদ্ধতা কতটুকু সংকুচিত ও অবহেলায় জর্জরিত। দেশের স্বাস্থ্যখাত জাজ্জ্বল্য উদাহরণ আমাদের সামনে। তাই সত্যিই রাষ্ট্রের মেরামত খুব বেশি প্রয়োজন। কিন্তু রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের কমিটমেন্টে সেই তাগিদ ও আন্তরিকতা আছে এমনটি দৃশ্যমাণ নয়।
কভিড-১৯ বা করোনা মহামারির এই দুর্যোগেও লোকদের চরম স্বার্থকেন্দ্রীকতা ও লুটেরা মানসিকতা এবং অমানবিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ত্রাণ চুরি ও নগদ অর্থ সহায়তারও নয়ছয় হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের খাবারে ভাগ বসিয়েছে। অনেক চিকিৎসককে চেম্বার বন্ধ করে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী হতে দেখা গেছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি বিষয়টিও সাধারণ মানুষকে খুবই কষ্ট দিয়েছে। এমন অসভ্য ও অমানবীয় বহু ঘটনা বর্তমান সমাজ ধারণ করছে। রিজেন্ট সাহেদ, জেকেজির ডা. সাবরিনা ও স্বাস্থ্যখাতের মাফিয়া মিঠুরা এই বুর্জুয়া রাজনীতি ও ভোগবাদী সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। রাজনীতি ও সমাজের নেতৃত্ব এখন এই দুষ্টচক্রই নিয়ন্ত্রণ করে।
এটি অনস্বীকার্য যে, সমাজ ও জনমানুষের মাঝে রাজনীতি দারুন প্রভাব বিস্তার করে। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, রাজনৈতিক আচার ও আদর্শ এবং ভুমিকা সমাজের প্রত্যেক স্তরে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। ফলে সমাজ ও রাষ্ট্রে সভ্যতার খোঁজ ও মানবিক বোধের উম্মেষ এবং জাতীয় আকাঙ্খা তাদের রাজনৈতিক আদর্শের উপরই নির্ভর করে। রাজনীতি গোষ্ঠী স্বার্থকেন্দ্রীক ও ক্ষমতালিপ্সু হয়ে পড়ার বিপদও আমরা দেখতে পাই বর্তমান বৃহত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমেরিকা ও ভারতে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী রাজনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘকালের সম অধিকারভিত্তিক সহাবস্থানের ভীতকে নড়িয়ে দিচ্ছে। একইভাবে বহু জাতিগোষ্ঠির ভারতে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি দেশটির ঐতিহ্যকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। দেশে দেশে এসবই আজকের সমকালীন ক্ষয়িষ্ণু রাজনীতির বাস্তবতা।
লেখক:জাকির মজুমদার
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী।