ফরিদগঞ্জে সাংবাদিক গাজি মমিনের মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম
আমান উল্ল্যাহ খান ফারাবী
Link Copied!
ফরিদগঞ্জ উপজেলার দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ও ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক গাজী মমিনের বড় মেয়েকে রাত ২টায় অপহরণ করার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। অপহরণে ব্যর্থ হয়ে তাকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়। সাংবাদিক গাজি মমিনের মেয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এঘটা ২৫ নভেম্বর রোববার দিবাগত ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার গাজি মমিনের নিজ বসত ঘরে ঘটে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানিয়েছে, রাত আনুমানিক দুই ঘটিকার পর ঘুমন্ত কন্যা মোহনা আক্তার রেহানা (১৫) কে মাথায় হাত বুলিয়ে জাগিয়ে তোলা হয়। চোখ মেলতেই তার মুখ চেপে ধরে তারা। সংখ্যায় তিনজন যুবক বলে কন্যা ধারনা করা হচ্ছে। তাদের একজনের বয়স ২০/২১ বছর অন্যদের বয়স ২৭/২৮ বছর হবে। একজন সর্বক্ষণ তার মুখ চেপে ধরেছিল। তারা তাকে পাকা বসত ঘরের বাইরে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিছু সময় তার সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি করে। এক পর্যায়ে টানাহ্যাঁচড়া করে বসত ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। ওই সময় পাশের বাড়িতে লোকজন দেখা যায়। তাদের মধ্যে থাকা পুলিশ দেখে অপহরণ চেষ্টা কারীদের দুজন আড়ালে চলে যায়। মুখ চেপে ধরে রাখা অপর একজনের হাতে কামড় দিলে ওই ব্যক্তি তাকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে রেহানা ঘরে গিয়ে মা-বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। তারা বাহিরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করলে কাউকে পাননি। এরপর থানা পুলিশকে জানালে এস.আই. আমজাদ ও এস.আই. খোকন চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তার বাড়িতে যান ও ঘটনা বিস্তারিত শোনেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসাদ-উজ জামান জুয়েল বলেন, নির্যাতনের শিকার ও আহত রেহানা এখন ঝুঁকিমুক্ত আছেন।
গাজি মমিনের মেয়ে রেহানা বলেন, গত কয়েকদিন যাবত বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে দুজন যুবক তাকে নানা কটু কথা বলেছে। প্রথমে বাবা মাকে লজ্জায় বলিনি। রাতে একটি কাগজে উত্যাক্ত করার ঘটনা লিখে রেখেছি, সকালে মা’র হাতে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রাতেই আমার উপর আক্রমন করে, ধারালো অস্ত্র দ্বারা হাতে, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তারা আমার মাথার চুল কেটে দিয়েছে।
গাজি মমিন ও তার স্ত্রীর বলেন, মোহনা আক্তার রেহানা স্থানীয় পূর্ব বড়ালি কবির আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাত ৯ ঘটিকা নাগাদ মেয়ে ঘুমিয়ে যায়। আর রাত এগার ঘটিকা নাগাদ আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কেউ রাতে ঘরের ভেতরে অবস্থান করছিলো। তানা হয় এমন ঘটনা ঘটানো অসম্ভব।
এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জের সাংবাদিকবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সহকর্মীর মেয়ের উপর নির্যাতনকারিদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশকে আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলম জানান, আমি ঘটনা শুনা মাত্রই পুলিশ পাঠিয়েছি এবং আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি ও খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে। দ্রুতই অপরাধিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া বলেছেন, আমি ঘটনা শুনেছি ও থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।