এলাকায় ফিরেই ছুরিকাঘাতে খুন হলেন যুবলীগ কর্মী
রাজশাহীতে আত্মগোপনে থাকা মো. মীম (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী এলাকায় ফিরেই খুন হয়েছেন। তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মীম মহানগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। বাবার নাম আব্দুল মোমিন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ফেলে আসে দুর্বৃত্তরা। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এলাকার লোকজন জানান, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর দুই হাতে গুলি চালানো যুবলীগ কর্মী জহিরুল হক রুবেলের আত্মীয় এই মীম। তিনি মহানগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে ছিলেন মীম। শনিবারই তিনি এলাকায় ফেরেন। এরপরই হামলার শিকার হন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার বিকালে নগরীর সাগরপাড়া এলাকায় একদল যুবক যুবলীগকর্মী মীমকে ধাওয়া দেন। পঞ্চবটি এলাকায় এসে মীম তাদের হাতে ধরা পড়েন। সেখানে তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এসময় তাকে ছুরিকাঘাতও করা হয়। পরে রাতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কে বা কারা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন তা পুলিশ নিশ্চিত নয়।
সাগরপাড়া এলাকার একটি গলির মুখে লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ৮-১০ জন যুবক মীমকে ধাওয়া দিচ্ছেন। তবে এই যুবকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাজমুল ইসলাম জানান, মীম যুবলীগ করতেন বলে জানা গেছে। তার লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা হবে। তিনি জানান, কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
তবে বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, নিহত মীমের মা আমাকে জানিয়েছেন তার বন্ধুরা তাকে খুন করেছে। এ বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে হত্যাকাণ্ডটির তদন্ত করা হবে।- যুগান্তর