রাব্বি ও আরাফাতের বাবার হত্যা বিচার পাবে কি?
হাইমচর উপজেলার ৩ নং আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের প্রবাসী আক্তার আখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় এক বছরেও বেরিয়ে গেলেও পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট এখনো আদালতে দাখিল করেনি। হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা করছেন।
আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের পূর্ব চর কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রবাসী আক্তার আঁখনকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যার পর বাড়ির পাশে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়। সেই ঘটনায় হাইমচর থানায় প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা হলেও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আত্মহত্যা নয় হত্যা করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করার পর নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম ডলি বাদী হয়ে শাহপরান,, আমির উদ্দিন আখন, তফুরীর নেছা,ববিতা, রিমা, ইভা, ও আনোয়ার সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সিআর-৩৮/২০১৯। মামলা হওয়ার পর প্রতিপক্ষরা মামলার বাদীকে আরেকটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করে ও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ অফ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) এসআই সাইদুরকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়। কিন্তু মামলার এক বছর পেরিয়ে গেলেও পিবিআইর তদন্ত এখনো শেষ হয়নি ও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠায়নি । মামলার বাদীকে হয়রানি, হুমকি-ধমকি দেওয়া এবং প্রবাসীর বাড়িতে তাকে মারধর করে লাঞ্চিত করায় অবশেষে পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
চট্রগ্রাম বিভাগীয় পিবিআই এসপি ২৬ আগস্ট সকালে আক্তার আখনের বাড়িতে পরিদর্শনে যান।
মামলার বাদী প্রবাসীর স্ত্রী মাজেদা বেগম ডলি জানান, মামলার ৭নং আসামী আনোয়ার আখন মামলার হাজিরা না দিয়ে ঢাকায় পলাতক রয়েছে।তিনি আরো জানান আমার স্বামী ১৮ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। সেখান থেকে তার উপার্জিত আয় বাবা ও ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন। স্বামী মারা যাওয়ার নয় মাস পূর্বে দেশে এসে তার পাঠানো টাকা হিসাব চেয়ে বাবা ও ভাইয়ের সাথে বেশ কয়েকবার ঝগড়া বিবাদ হয়। ২৫ রোজায় বাবার বাড়িতে চলে আসার পর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর সাথে তার পরিবারের লোকজনের ঝগড়া-বিবাদ মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় তারা স্বামীকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরদিন সকালে শাশুড়ি ফোন করে জানালে বাড়িতে গিয়ে স্বামীর লাশ গাছের সাথে ঝুলতে দেখি ও তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। হত্যার ঘটনাটি আত্মহত্যা চালিয়ে দিয়ে থানার পুলিশকে ম্যানেজ করলে পুলিশ প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। করে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যা করার আলামত পাওয়ায় আদালতে ৭জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এসআই সাইদুল তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করেনি।