করোনাকে যেনো ভুলে গেছে মানুষ !
চীনের উহান থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি। এটি এমন একটি ভাইরাস যা এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে প্রবেশ করে। আর এভাবেই ছড়িয়ে পড়েছে সারাবিশ্বে করোনভাইরাস। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি রোধ করার লক্ষ্য লকডাউন ঘোষণা করে। তারপরেও রোধ যোনো কোনোভাবে করা যাচ্ছে না করোনভাইরাস। সারা বিশ্বে আক্রান্ত ১কোটিরও বেশি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সারাবিশ্বে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। স্থবির হয়ে পড়ে মানুষের জনজীবন। গোটা বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে। বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার ভ্যাকষিন তৈরির চেষ্টা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। সাধারণ জনমণে নেই কোন সচেতনতা। প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে করোনা ভাইরাসটির সংক্রমণ।
এর মধ্যেও নানান কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষজন যথাযথ শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। উল্টো সাবধানতা উপেক্ষা করে প্রতিদিনই বাইরে মানুষের সমাগম বাড়ছে।
রোববার ৫জুলাই হাজীগঞ্জ বাজারে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।
সামাজিক দুরত্ব না মানার বিষয়ে বাজারে আসা ব্যাক্তিদের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ আমাদের মাঝে করোনা নেই। কতদিন আর ঘরবন্দি হয়ে থাকবো এক সময় বাইরে বের হতেই হবে। আর দেখেন আমার মতো আরও অনেকে তো প্রতিদিন বাজারে আসে তাহলে কি তারা করোনা ভাইরাস নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এভাবেই নানান অজুহাত দেখিয়ে এই সাধারণ মানুষগুলো বাজারমুখী হচ্ছে। প্রতিদিনই মানুষের সমাগম বাড়তে দেখা যায় হাজীগঞ্জে বাজারে। সাধারণ মানুষগুলো যেনো মানতে চাইছে না তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাজীগঞ্জের শপিংমল ও দোকানে আসা ক্রেতারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছেনা। তাছাড়াও সাধারণ মানুষ এখনো শারীরিক দূরত্ব মানতে চাইছেন না। পাশাপাশি বেড়েই চলছে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো। কতোটা নিয়ম মেনে যাত্রীরা যাতায়াত করছে সেটা যোনো এখন আর দেখার কেউ নেই।
হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন করোনা পজিটিভ হয়ে মারা যান। আর জ্বর সর্দিতে ৬২ জন মারা যান। এদের মধ্যে ১৭ জন নেগেটিভ হয়। নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি ১৩ জনের। উপসর্গ ছিলো না ৭ জনের। ফলাফল অপেক্ষমান ৫ জনের ও চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ৩ জন নমুনা প্রদান করে।