তিনি বলেন, শনিবার সকালে খাদেরগাঁও ইউনিয়নের বেলতী গ্রামের খালেরপাড় ১৫/১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। পরে তারা থানায় খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তার পরনে জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি পরা অবস্থায় ছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি বলেন, নিহতের অটোরিকশাটি নওগাঁও গ্রামের পাঠান বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ব্যাটারী পাওয়া যায়নি।
নিহতের পিতা নাছির উদ্দীন মিয়াজি বলেন, গতকাল (শুক্রবার) বিকেল তিনটার দিকে একটা ফোন পেয়ে আমার ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না আসায় আশপাশে খোজাখুজি শুরু করেন।রাতে মোবাইলে কল দিয়ে তাকে না পাওয়া গেলে আমি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করি। পরে আজ সকালে ভাংগারপাড় এলাকায় এলে লোকজনের মুখে শুনতে পাই বেলতী গ্রামে একটি লাশ পাওয়া গেছে । পুলিশের গাড়ি বেলুতী গ্রামে গিয়েছে শুনে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহটা পরে আছে।
এলাকাবাসী জানান, দুই ভাই এক বোনের মধ্যে নিহত মাইনউদ্দিনই বড়। সে অটোরিকশা চালিয়ে সংসার ও ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন।
ঘটনাস্থল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত কুমার রায়, সহকারী পুলিশ সুপার(মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির পরিদর্শন করেছেন।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে নিহতের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানা হয়েছে। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে।