ফরিদগঞ্জে কলেজ নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের কমিটিকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন মাহবুব মোর্শেদ কচি নামের যুবদলের এক নেতা। এ ঘটনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ১১ জন নেতার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন কচি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন তিনি। এ ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ সরকার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে হামলার শিকার হন মাহবুব মোর্শেদ কচি। ওই দিন গল্লাক আদর্শ কলেজের কমিটিবিষয়ক একটি সভায় যোগ দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যাচ্ছিলেন কচিসহ আরো কয়েকজন। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা করে বিএনপি নেতা আমানত হোসেন গাজী, আমজাদ হোসেন শিপন, আবুল কালাম আজাদসহ আরো বেশ কয়েকজন তার ওপর হামলা চালায়। এসময় বেদম মারধর করে তার পরিধানের কাপড়চোপড় ছিড়ে ফেলেন তারা।
একপর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
কচি অভিযোগ করেন, মূলত হামলাকারীদের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে তার ওপর হামলা করা হয়। তবে হামলার বিষয় অস্বীকার করে বিএনপি নেতা আমানত হোসেন গাজী বলেন, কচির ওপর কে বা কারা হামলা করেছে তা জানি না। তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনার দিন উপস্থিত অনেকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কিছুদিন আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফরিদগঞ্জ গল্লাক আদর্শ কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি পদে মনোনয়ন দেয় বিএনপি নেতা সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদের অনুসারী যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী মাহবুব মোর্শেদ কচিকে। তবে তার এই পদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগেন স্থানীয় বিএনপি নেতা এমএ হান্নানের অনুসারী উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও তার সমর্থকরা। এই নিয়ে গত কয়েকদিন উত্তেজনার পর বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাহবুব মোর্শেদ কচির পদটি স্থগিত ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে আরেকটি আদেশে স্থগিত করা হয় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা-হাসমত কলেজ কমিটি।