ফরিদগঞ্জ উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলীর রোষানলে এক ঠিকাদার
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
Link Copied!
মনিরুজ্জামান বাবলু, চাঁদপুর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী মো. আবরার আহম্মদের বিরুদ্ধে রোষানলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান জুবায়ের এন্টরপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী মো. কাইয়ুম গাজী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলা প্রকৌশলী আবরার বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ফরিদগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় নেতাদের সহিত সম্পর্ক তৈরী করে বিশেষ করে অত্র
উপজেলা রাজস্ব উন্নয়ন ও এডিবি অর্থ উপজেলা প্রকৌশলীর বন্ধুর একটি লাইসেন্স ব্যাবহার করে আসছে।
উপজেলা প্রকৌশলী লোকচক্ষুর আড়ালে একাধিক ব্যক্তির সাথে গোপনে ব্যবসা করে আসছেন এই ব্যবসা করনে এলজিইডির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার সামিল তামিল বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন তিন বছরে। বিগত সরকারের আমলে তিনি ওবায়দুল কাদেরের আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেন ফরিদগঞ্জে। বর্তমানে তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তাকে বিএনপি করার তকমা দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করে। এছাড়াও তার অন্য দুইটি লাইসেন্সের মাধ্যমে ঘনিয়া স্কুলের কাজ চলমান থাকা সত্ত্বেও চলমান কাজ ক্যানসেল করে দেয়ার হুমকী দেয়। বিভিন্ন কাজের মনগড়া বিল কর্তন করেন ফলে অর্থনৈতিক সংকটে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. কাইয়ুম গাজী বলেন, তদন্ত করলে এই প্রকৌশলীর দায়িত্বকালীন সময়ে অনেক প্রকল্পের কাজ না করে বিল উত্তোলন করে নেয়ার প্রমাণ মিলবে। সাবেক সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে আদাত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই প্রকৌশলী। তাকে এখান থেকে সরিয়ে একজন সৎ কর্মকর্তা হলে উন্নয়নমুলক কাজের গতি বাড়বে।
জানতে চাইলে প্রকৌশলী আবরার হোসেন বলেন, জুবায়ের এন্টারপ্রাইজের কোন কাজ নেই। কাইয়ুম গাজী অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুইটি কাজ করেছে। শতভাগ কাজ না করায় কিছু বিল কর্তন করা হয়েছে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে আসছেন।