চাঁদপুরে বৃষ্টির পানিতে বেড়েছে জলাবদ্ধতা ও দুর্ভোগ
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট চাঁদপুর
Link Copied!
টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে চাঁদপুরের কয়েকটি উপজেলায় বেড়েছে জলাবদ্ধতা। এতে বন্যা কবলিত শাহরাস্তি, হাজীগঞ্জ ও জলাবদ্ধতার শিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের বেড়েছে দুর্ভোগ। দুইদিন ধরে চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ-মতলব রুটের যাত্রাবাহী ছোট নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক রয়েছে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। তবে যাত্রী অনেক কম।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ মো. শোয়েব বলেন, রোববার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা মাঈনুল ইসলাম কাজল জানান, বন্যায় কবলিত এই উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার টানা দুই দিন বৃষ্টিপাত। উপজেলায় এখনো ৫ শতাধিক মানুষ গবাদিপশু নিয়ে রয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন। নবাগত জেলা প্রশাসক বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বৃষ্টিতে আবারও পনিবন্দি কয়েক হাজার মানুষ।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন সৈকত বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ী ফিরলেও আবারও জলাবদ্ধতার কবলে পড়তে হচ্ছে। পানিবাহিত রোগে হাসপাতালে ছুটছেন কেউ কেউ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হয়েছে হকার, কিরশা চালক ও শ্রমিকরা।
সদরের অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম বলেন, সকালে ভাড়া নিয়ে রামপুর ইউনিয়নের রাড়িচর এসেছি। এখন বৃষ্টির কারণে কোন দিকে যেতে পারছি না। অনেক অটোরিকশা চালক বৃষ্টির কারণে ঘর থেকেও বের হতে পারছে না।
সদরের বাগাদি ইউনিয়নের বাসিন্দা আলম মিয়া বলেন, চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকায় এর আগের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। কিছুদিন বৃষ্টি কম থাকায় পানি বাড়ি ঘর থেকে নেমে যায়। এখন আবার পূর্বের অবস্থা তৈরী হচ্ছে। আগের বার ফসল ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শহরের পুরাণ বাজার বাণিজ্যিক এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুল আহসান বলেন, সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুর হলেও অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছে না। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। সড়কও অনেকটা ফাঁকা। রিকশা ও অটোবাইকের সংখ্যা খুবই কম।
চাঁদপুর পল্লী বিদুৎ সমিতি-১ ও ২ এর কর্তৃপক্ষ বলছেন, জেলায় প্রায় আট লাখ গ্রাহকের জন্য ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেই তুলনায় মিলছে ৮ে০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট। গত এক সপ্তাহ ধরে চাঁদপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলায় চাহিদার মেটাতে পারছেন না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে ৭-৮ঘন্টা।