প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ মিলল যাত্রীবাহী লঞ্চে
শুক্রবার ওই লঞ্চটি সদরঘাটে ভিড়ার পরে খবর পেয়ে নৌ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এই তথ্য নিশ্চিত করে নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম।
আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ভোটাল গ্রামের হাফেজ মোহাম্মদ এর ছেলে এবং রোজিনা আক্তারের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।
এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চের সুপারভাইজর আবু সাইদ জানান, লঞ্চটি সকালে সদরঘাটে ভিড়ার পর ৩১১ নম্বর কেবিন খুলে যাত্রী বের হয়নি। আধাঘন্টা সময় নিয়ে দরজা আওয়াজ দেয়া হয়। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর নৌ পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে সুরাতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, আনোয়ার ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়া ইউনিয়নের বোটাল গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির হাফেজ মোহাম্মদের ছেলে। তিনি এক নারীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়।
লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের মালিক প্রতিনিধি আজগর আলী সরকার জানান, সকালেই ঘটনাটি আমাকে লঞ্চ থেকে স্টাফরা জানায়। আমি তাদেরকে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে এমভি ময়ূর-৭ লঞ্চটি সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে সাথে নিয়ে লঞ্চে উঠে। লঞ্চের ৩১১ নম্বর কেবিন ভাড়া নেয়। পথিমধ্যে প্রেমিক আনোয়ার হোসেন তার প্রেমিকা রোজিনা আক্তারকে শ^াসরোধ করে হত্যার পর নিজে কেবিনের ফ্যানের সাথে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এর পূর্বে আনোয়ার হোসেন চিরকুট লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল ‘তার প্রেমিকাকে পরিবারের পক্ষ থেকে মেনে না নেয়ায় সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
নৌ পুলিশ সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, লঞ্চ থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য দুটি মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়। সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছে। আইন প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।