ভেকু দিয়ে ফসলী জমির মাটি জনতা কাটলে অভিযান, জনপ্রতিনিধি কাটলে দায় কার?
হঠাৎ করে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ফেকু দিয়ে মাটি কাটার খবরে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেন। তবে উপজেলার দুইটি ইউনিয়নে ভেকু দিয়ে দিনে-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছেন। একটি সম্পন্ন , আরেকটির কাজ চলছে। প্রকল্পগুলো কাজের বিনিময় খাদ্য কাবিখা কর্মসূচির। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যানগণ হতদরিদ্র মানুষকে কাজ না লাগিয়ে তড়িগড়ি করে কম খরচে ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটছেন। এই বিষয়টির দায় নিভে কে?
গত দুই রাত ও দিনে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়ন পরিষদের জানতা বাজার সংলগ্ন মাঠে নতুন অর্থবছরে প্রকল্পের রাস্তা নির্মাণ কাজে শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেলো কালচোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের টিটু রাস্তা নির্মাণের কাজের তদারকি করছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে দিনমজুর শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তাটি’র নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুত সময়ে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত যাবে। আর তাই তড়িঘড়ি করে জনগণের সুবিধার্থে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছি। এছাড়াও সব জায়গায় পানি থাকার কারণে এত অল্প সময়ে শ্রমিক ধারা মাটিকাটা সম্ভব হবে না। আর তাই মেম্বার ও স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল পপুলার বিডিনিউজকে বলেন, চেয়ারম্যান ভেকু দিয়ে কেন মাটি কাটলেন? এ বিষয়ে শোকজ করা হচ্ছে।
এর আগে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা ইউনিয়নে ধড্ডা গ্রামে একরাতে ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে ভেকু দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
এসব প্রকল্পের বরাদ্দ বাস্তবায়নকারী ও তদারকি করেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. জাকির হোসাইন। রাত সাড়ে ৯ টায় তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। পপুলার বিডিনিউজ, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর