নিরবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন মাসুদ ইকবাল
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মানবিক কাজের মাধ্যমে নিজের অতীতের জানান দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক মাসুদ ইকবাল। অদৃশ্য এই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে হাজীগঞ্জ সবখানেই সমান ভাবে বিচরণ তার। জরুরী খাদ্য সরবরাহ কিংবা কৃষকের পাশে দাঁড়ানো সহ দুর্দান্ত সব কাজে বাহবা কুড়িয়েছেন এ জনপ্রিয় আহবায়ক।
হাজীগঞ্জ উপজেলার তৃণমূলে গিয়ে জানা যায়, করোনা এবং বন্যার বিষাক্ত ছোবলে ক্ষতবিক্ষত খেটে খাওয়া মানুষদের কান্না থামাতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকারের ও হাজীগঞ্জ – শাহরাস্তির গণমানুষের নেতা সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর সেক্টরের কমান্ডার বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের নির্দেশে তাদের সহায়তায় উদ্যোগী হয়ে উঠেন তিনি। সার্বিক সহযোগীতায় নানামুখী উদ্যোগ নিয়ে করোনাযুদ্ধে অদ্যবধি পর্যন্ত নিবিঘ্নে অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করছেন জনপ্রিয় ও কর্মীবান্ধব নেতা মাসুদ ইকবাল ।
তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ছাত্র জীবন থেকেই মুক্তিযোদ্ধোর চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে, বন্যা দূর্যোগে দেশের দু:সময়ে কাঁদছে সমাজের খেটেখাওয়া, হতদরিদ্র নিম্নআয়ের কর্মহীন অসহায় মানুষ। যারা এক দিন কাজ না করলে,পরের দিন তাদের মুখে খাবার জোটে না, সব কিছু উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত জীবিকার সন্ধানে বাইরে ছুটতে হচ্ছে তাদের, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের পাশে থেকে কাজ করছে হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল । দেশের চরম এই দু:সময়ে নিজের মানবিকতা জাগ্রত করে সামাজিক দূরত্বের শর্ত মেনে তাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী কর্মহীন অসহায়দের হাতে পৌঁছে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটানোর প্রাণান্তর প্রচেষ্টায় কাজ করছেন তিনি। সমাজের হতদরিদ্র অসহায়দের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করছেন তিনি।
করোনাযুদ্ধের শুরু থেকেই এবং বন্যার দুর্দিনে নিম্ন আয়ের এসব মানুষকে জনকল্যাণমুখী নানাভাবে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল সংসদ সদস্য মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের সার্বিক সহযোগীতায় নিজে উপস্থিতি হয়েও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীদের মাধ্যমে এসব দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে তাদের আহারের খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ বিতরণ মানবিকতায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
মাসুদ ইকবাল অসহায় তাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী, বিতরণ করেন। এর আগেও এর পাশাপাশি নিজের করোনায় আক্রান্ত রোগীদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, বিভিন্ন হাট বাজারে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রচারণামূলক কর্মসূচীসহ ও প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও হাজীগঞ্জ -শাহরাস্তির মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির নির্দেশে হাজীগঞ্জ উপজেলার ও ইউনিয়ন সবকটি ওয়ার্ডে করেছেন বৃক্ষরোপন কর্মসূচি। এসব ‘করোনা প্রাদুর্ভাবে সারাদেশে দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নির্দেশে অগনিত নেতাকর্মীরা এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন ওয়ার্ড নেতাদের নেতৃত্বে জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছেন। করোনার এই দূর্যোগে সাধারণ জনগণ বর্তমানে বন্যার প্রভাবে আরো ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। সরকার তাদের পাশে নানা ভাবে সাহায্য সহযোগীতা করছেন। সরকারের পাশাপাশি ও মাননীয় সংসদ সদস্য নৌ পরিবহন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির সার্বিক সহযোগীতায় করোনায় ও বন্যার্তদের পাশে মানবিক সহায়তায় কাজ করেন তিনি। এছাড়া আমরা হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ ও ইউনিয়ন জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ গাছের চারা বিতরণ করতে দেখা গেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো জানান, ‘আগামীতে করোনার ছোবল যতদিন আছে ততদিন এবং এরপরও আমার কাজ থাকবে শুধু মানুষের কল্যাণে কাজ করা। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে মাঠে থাকবো, জনগণের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত থাকবেন।
মাসুদ ইকবালকে নিয়ে মো. সোহাগ বলেন, একজন সংগ্রামী যুদ্ধা, দলের দুঃসময়ে রাজপথ কাপানো আওয়ামী পরিবারের অকৃত্রিম বন্ধু। জামায়াত-বিএনপির অপশাসনের বিরুদ্ধে মাঠে-ময়দানে দলকে শক্তিশালী করে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখার কারনে নেতা-কর্মীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেন এই ত্যাগি নেতা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-হাজীগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি। অকুতূভয় মাসুদ ইকবাল জেল-জুলুম অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সর্বদা ছিলেন অগ্রভাগে। সাধারণ কর্মীদের প্রতি ভালবাসা ও দলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধার ফলে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক।
তিনি আরো বলেন, যখন চারেদিকে নয়া আওয়ামীলীগারদের জয় জয়কার, তখন মাসুদ ইকবালের মত ত্যাগি নেতারাই অবহেলিত কর্মীদের সাহসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।
উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি মুনছুর আহমেদ বিপ্লব বলেন, মাসুদ ইকবাল আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে তিনি সকল আন্দোলনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতায় আমরা যুগোপযোগী রাজনৈতিক কর্কান্ড নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারছি। আমরা প্রত্যাশা করছি তিনি আগামীতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে সমাজের উন্নয়নে একটি সুযোগ পাবেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক এ এস এম রাসেল মজুমদার বলেন, তিনি সাংগঠনিকভাবে আমাদেরকে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে আগ্রণী ভূমিকা রাখেন। একজন কর্মী বান্ধব নেতাকে আমরা আগামীতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খান রনি বলেন, তিনি একজন কমী বান্ধব নেতা। সাংগঠনিক দক্ষতা আছে। নিজ হাতে দায়িত্ব নিয়ে ইউনিয়নের দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ রাখেন তিনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ প্রধানীয়া সুমন বলেন, মাসুদ ইকবাল সবসময় দলের জন্য নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন। তিনি নীরবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীততে বিচরণ করে দলের সাংগঠনিক শক্তি যোগান দিয়ে আসছেন। আগামীতে হাজীগঞ্জ উপজেলার যেকোন দায়িত্বে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন রাজনৈতিক নেতাদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছি।