মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ফরিদগঞ্জের মাইনুদ্দিনের পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মাইনুদ্দিন (১২) নামে ফরিদগঞ্জের এক স্কুল ছাত্রেরও মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। নিহত ছাত্রটি উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের বিল্লাল মাস্টারের বাড়ির তরজিরান্তি গ্রামের মহসিন খানের ছেলে এই মাইনুদ্দিন । তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম সৃষ্টি হয়।
শিশু মাইনুদ্দিন নারায়গঞ্জে তার গার্মেন্টস কর্মী মা ও সবজি ব্যবসায়ী বাবার সাথে থাকতো। শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ার একটি পর রোববার দিবাগত রাতে গ্রামের বাড়ির গোরস্থানে মাইনুদ্দিনকে দাফন করা হয়। গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিশুটির বাড়িতে গিয়ে শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দেন। একই সাথে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস।
স্থানীয় ইউপি চেয়ার্যান পরিবার সুত্রে জানা যায়,তরজিরান্তি গ্রামের মহসিন খানের ছেলে মো.মাইনুদ্দিন নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীতে পড়াশুনা করত। তার বাবা নারায়ণগঞ্জে কাঁচামালের ব্যবসা ও মা গার্মেন্টস শ্রমিক। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন ছিল সবার ছোট। গত শুক্রবার এশার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে।
নামাজ পড়ারত অবস্থায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মাইনুদ্দিনসহ ৩৪ জন ভয়াবহ বিস্ফোরনের কবলে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা মাইনুদ্দিন গুরুতর আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরি জানান, নিহত মাইনুদ্দিনের পরিবারকে সরকার, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্ত দেওয়ার জন্য আমরা সেখান যাই। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করা হবে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, পিআইও মিল্টন দস্তিদার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান।