মামলা দিয়ে ইউপি সদস্যকে হয়রানির অভিযোগ
ফরিদগঞ্জে নির্বাচিত ইউপি সদস্যকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই মধ্যে ওই মিথ্যা মামলায় ইউপি সদস্যকে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে প্রেরণের পাঠিয়েছে তিন দিন কারাভোগের পর সোমবার জামিন এসেছে ওই ইউপি সদস্য।
ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের ব্যাপারেী বাড়িতে।
জানা গেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য এমরান হোসেন তালুকদার দীর্ঘ প্রতিকূলতা পেরিয়ে উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পর থেকেই পার্শবর্তী বাড়ির মোবারক হোসেন গংরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে এমরান হোসেন তালুকদার গত ২৯জুলাই ফরিদগঞ্জ থানা সাধারণ ডায়েরি করেছে।
সাধারণ ডায়েরি তে উল্লেখ করেন যে মোবারক হোসেন ইমরান হোসেন এর পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা।
মোবারক হোসেন যে কোন সামান্য ঘটনা নিয়ে মামলা জড়িয়ে দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করে
এ নিয়ে মোবারক গংরা ওই বাড়িতে প্রায় ১২টি মামলা চলমান রয়েছে।
সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই মোবারক হোসেন গংরা বেপারি বাড়ি নওশদ আলম বেপারীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দুই কন্যাসহ সবাইকে ব্যাপক মারধর করে আহত করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মোবারক হোসেন গংরা হামলার পরপরই থানায় মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করার চেষ্টা করেছে বলে জানা গেছে।
মামলার কথা শুনে ফেরদৌসী বেগমের স্বামী নওশদ আলম বেপারী স্টোক করে ১আগস্ট ঈদুল আযহার দিন বিকেলে এই বাড়িতেই তাঁর ইন্তেকাল করেন ।
ফেরদৌসী বেগম বলেন, মোবারক হোসেন আমাদের বাড়িতে এসে আমার জমির দলিল দিয়ে সে ব্যাংকে লোন করার জন্য আমার দলিল চায় আমি দলিল দেই নেই।
সে আমাদের ফসলি জমিতে গরুর ঘাসের চাষ করবে বলে জমি দখলে নিতে চায়।
আমরা তাহা করতে না দেওয়ায় সে বাড়িতে এসে আমাদের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় তার ছেলেসহ ভাড়াটে কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়।
আমার দুই মেয়েসহ আহত করে ক্ষান্ত হয়নি সে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
আমার স্বামী হার্টের রোগী ছিলেন আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এই খবর শুনে আমার স্বামী নওশদ আলম হার্ট অ্যাটাক করে ইন্তেকাল করেন।
মোবারক এবং তার সন্ত্রাসী ছেলে শরীফ আমার মেয়েদের স্পর্শ কাতর জায়গায় আঘাত করেছে এবং দুই ভরি স্বর্ণের চেইন মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে।
আমি সাথে সাথেই থানা পুলিশকে অবগত করেছি ওই মামলাতে আমরা আসামি হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পিতভাবে মোবারক হোসেন ইমরান হোসেন মেম্বারকে প্রধান আসামি করেছে।
মোবারক হোসেনের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কয়েক দফা হামলা করেছে নওশদ আলম ব্যাপারীর বাড়িতে এতে ঘর দরজা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা মোবারক হোসেন একটা মামলাবাজ প্রকৃতির লোক কারো সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হলেও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
গত জুলাই আমি তার বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ভাষায় গালমন্দ করে।
আমি প্রতিবাদ না করায় আমাকে বাড়িতে এসে অস্ত্র দিয়ে হামলা করবে বলে হুমকি দেয় এ নিয়ে আমি ২৯ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
মোবারক হোসেন পরিকল্পিতভাবে আমাকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে আমি ঘটনার বিবরণ সহ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তার অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
হেলাল আহমেদ বলেন মোবারক হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
সে মানুষের কাছে জমি বিক্রি করে পরবর্তীতে কয়েকদিন পরে দলবল নিয়ে পুনরায় দখল করে।এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে সে আপন শশুরের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।
ভয়ে ওই পরিবার তার সাথে মুখ খুলতে পারছে না। মোবারক হোসেন এলাকায় অনেক পরিবারকে মামলা দিয়ে পথে বসিয়েছে আমরা এই মামলাবাজ এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা চাই প্রশাসনের কাছে এটাই দাবি।
এ বিষয়ে মোবারক হোসেন বেপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের বাড়িতে এসে এমরান মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
তাই আমি মেম্বারকে আসামি করেছি আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এমরান মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না দূরে দাঁড়িয়ে সে নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ফেরদৌসী বেগম ও মোবারক হোসেন মামলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।