ফরিদগঞ্জে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে প্রভাষকের ওপর হামলা, আটক ১
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের দিগদাইর গ্রামে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে প্রভাষক মোঃ শরীফ হোসেন পাটওয়ারী ওপর হামলা করেছে স্থানীয় একদল যুবক। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রিপন (৩৩) কে কে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
অভিযোগপত্র ও প্রভাষক মোঃ শরীফ হোসেন পাটোয়ারী তথ্যমতে জানা গেছে, ঈদের জামাত মসজিদে পড়ার জন্য সরকারি নির্দেশনা থাকলেও দিগদাইর গ্রামের বিএনপি সমর্থিত শেখ ফরিদের নেতৃত্বে একদল যুবক ঈদগাহে নামাজ পড়ার আয়োজন করে। বিষয়টি খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশ মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অমান্য না করার নির্দেশ প্রদান করেন। ঈদগাহে নামাজ পড়তে না পারায় শেখ ফরিদের নেতৃত্বে পুলিশকে তথ্য দেয়ার সন্দেহজনকভাবে প্রভাষক শরীফ হোসেন এর উপর এলোপাতাড়ি হামলা করা হয়।
হামলায় প্রভাষক শরীফ হোসেনের মুখমন্ডল রক্তাক্ত জখম হয়। তাকে দ্রুত হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়াও মফিজুল ইসলাম মজুমদার আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
শেখ ফরিদের নেতৃত্বে হামলাকারীরা হলো পশ্চিম বেপারী বাড়ীর সজিব, মোতালেব, কাউছার, আলম, রিপন ও সাদ্দাম গংরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শারাফাত উল্যাহ বলেন, করোনাকালে ঈদগাহে মসজিদে ঈদের জামাত পালন না করার নির্দেশনা ছিল। তাদের গ্রামের শেখ ফরিদের নেতৃত্বে একদল যুবক ঈদগাহে নামাজ পড়ার আয়োজন করে। সে বিষয়টি জেনে সেখানে চৌকিদার পাঠিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরে জেনেছি ঈদগাহে নামাজ পড়তে না পারায় মো. শরীফ হোসেন পাটওয়ারীর উপর হামলা হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন মোঃ শরীফ হোসেন পাটোয়ারী পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে রিপন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত শেখ ফরিদ মুঠোফোনে বলেন, হামলার ঘটনার সময় আমি হাজীগঞ্জে ছিলাম। ঈদগাহের নামাজ পড়া নিয়ে আমার চাচাতো ভাইদের সাথে মারামারির ঘটনা হয়েছে। অথচ আমাকে আসামী করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।