হাজীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, অর্ধশতাধিক দোকানে ১০ কোটি টাকার ক্ষতি
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে টিন পট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধশতাধিক দোকানে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটে একটি বাঁশ শিল্পের দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদশী ফয়সাল ও রিয়াদ বলেন, চারপাশে বিল্ডিং থাকায় পুরো বাজার রাখা পেলেও রক্ষা পায়নি কাঠের তৈরি দোকান ঘর সহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের দমকলকর্মীদের পাশাপাশি শতাধিক তরুণ আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।
পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খোরশে, কারী, আবুল বাশার, ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ, অনিল সাহা, ওষুধ ফার্মেসী ২ টি, মান্নান, তফুসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ে
চাঁদপুর সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, সার্ভিসের চারটি স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। স্টেশন গুলো হল হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কয়েক কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন। আহত ৫/৬ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা ব্যয়ভার গ্রহণ করবেন ব্যবসায়ী সমিতি।
হাজিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, ৩৪ থেকে প্রায় ৫০ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে বেশিরভাগ দোকান গুলো বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন পণ্যের ডিলার, ফার্মেসী, বাঁশ শিল্প, মুদি দোকান ও টিনের দোকান ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজিগঞ্জ পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুবুব-উল আলম লিপন, হাজীগঞ্জ সদর সার্কেল আফজাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন রনিসহ হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
হাজিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মোঃ রুবেল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা চেষ্টা করি প্রথমে হাজিগঞ্জে ২ টি ইউনিট, শাহরাস্তি, কচুয়া ও চাঁদপুর সদর উপজেলার ইউনিট কাজ করেছে।