জুতার মধ্যে লুকিয়ে আছে সোহেলের খুনি, তিনটি চক্র সক্রিয়
গত বুধবার সকালে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কংগাইশ এলাকার অটোরিক্সা চালক সোহেলের (২৫) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে সোহেলের পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। সে মঙ্গলবার সকালে অটোরিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। তারপর আর বাসায় ফেরেনি। খুনিদের সনাক্ত করতে তিনটি চক্রের উপর নজরধারী বাড়াতে এলাকাবাসীর আহবান। দুইটি চক্র ধেররা বিলওয়াই এলাকার, আরেকটি চক্র মকিমাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার।
বুধবার সকালে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়কের হাজীগঞ্জ পৌরসভার মিঠানিয়া ব্রীজ সংলগ্নে ইকবাল মজুমদারের বালুমহালে খোঁজ মিলে সোহেলের মৃতদেহ।
হাজীগঞ্জ থানা তদন্ত অফিসার আবদুর রশিদ পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, সোহেলকে যারা খুন করেছে, তাদের জুতা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। আরেক জোড়া জুতা সোহেলের পায়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে খুনিরা তড়িগড়ি করে জুতা রেখে গেছে। জুতাগুলো কার? তা সনাক্ত হলেই বেরিয়ে আসবে সোহেলের খুনি।
এদিকে সোহেলের মৃতদেহ যেই এলাকায় পাওয়া গেছে, সেখানে রাতে কয়েকটি চক্র চুরি, ছিনতাই ও মাদকসেবনের জড়িত। পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে স্থানীয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ধেররা-বিলওয়াই ছোট-বড় তিনটি গ্রুপ রয়েছে। তাদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ বেশি সক্রিয়। তারা সড়কে উপর রাতে আড্ডা দেয়। মাদক সেবনে জড়িত। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক ও চুরির মামলাও রয়েছে।
অপরদিকে হাজীগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সন্ধ্যার পর সক্রিয় বিচরণ করতে দেখা যায়। চক্রটি বাসা-বাড়ি চুরি ও মাদক সেবনে জড়িত। এই চক্রের প্রায় ১৫/২০ জন রয়েছে। চক্রের মধ্যে রয়েছে ৪নং ও ৫নং ওয়ার্ মকিমাবাদ এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ।
সোহেলের খুনিরা যেহেতু অটোরিক্সাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তাহলে এই দুই এলাকার রাতের চক্রগুলোকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসতে পারে সোহেলের খুনিরা। এমনটাই ধারণা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।