পুলিশের ঈদ
সবার নাম পুলিশ। একনামে সবাই জানে-ডাকে। নাম, পরিচয় জানতে চায় না। যদি কোন তদবিরের প্রয়োজন হয় তখনই ওই পুলিশের নাম আর পরিচয় খোঁজা শুরু হয়। এই করোনা কালে আমরা চিনলাম অন্যরকম পুলিশ। মামলা-মোকাদ্দমার পাশাপাশি মানুষকে রোগমুক্ত রাখতে লড়াই করেছেন। এই লড়াই রোদে পুড়ে মানুষকে সচেতন করার লড়াই ছিল।
আজ পবিত্র ঈদুল আযহা। একনীড়ে যেন বসতি, সবাইকে নিয়ে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি। তিনি শনিবার সকালে থানার সবাইকে নিয়ে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেন। তারপর থানা প্রাঙ্গনে গরু কোরবান দিলেন।
সবাই কিন্তু এক সংসারের নয়। এক গ্রামের নয়। কর্মক্ষেত্রে একত্রিত হয়েছেন। পরিবার পরিজন ছাড়া ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হয় ঠিক এভাবেই। দেশে এই একটি পেশা। জাতি যখন আনন্দ করবে – তখন পুলিশ থাকবে আনন্দটা যেন ম্লান না হয়। আবার জাতি যখন নিরানন্দ অথবা কোন বিশৃংখলায় নিমজ্জিত হবে- তখন এই পুলিশ থাকবে সেখান থেকে শৃংখলায় ফেরাতে।
শুক্রবার রাত যখন গভীর হয়। তখন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলেন, ‘আপানারতো পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করবেন, আমাদের তা হয়ে উঠে না।’ রাতে খবর নিয়েছেন, উপজেলার কোথাও ঈদের নামাজ নিয়ে হট্টগোলের সম্ভাবনা আছে কিনা? খবর নিয়ে শনিবার সকালে থানার প্রতিনিধি হিসেবে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মসজিদগুলোতে পাঠিয়েছেন।
অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, ‘প্রিয় হাজীগন্জবাসী/ প্রিয় বন্ধুরা…
আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আপনাদের সকলের জীবন। আশাকরি সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরিধান পূর্বক ঈদ আনন্দ উদযাপন করবেন। আপনার কোন আচরনণ যেন কোন সামাজিক অশান্তি কিংবা মারামরি,হানাহানী না ঘটে সেই কামনায় আবারো ঈদ মোবারক।’
সুস্থ্য থাকুক পুলিশ। সুস্থ্য থাকুক দেশ। সেই প্রত্যাশা।