গোবিন্দপুর রাস্তার বেহাল দশা
শুকনো মৌসুম কিংবা বর্ষা, রাস্তার প্রায় এক কিলোমিটার অংশ জুড়ে সারা বছরই থাকে কাদা। কাদা আবৃত থাকা এই রাস্তাটি এখন বর্ষা মৌসুমে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গোবিন্দপুর ছলেহিয়া মাদ্রাসা থেকে মহিলা মাদ্রাসা পর্যন্ত এই সড়কটির বর্তমান বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই! অথচ এই সড়ক দিয়ে সহস্রাধিক মানুষ প্রতিদিন আসা যাওয়া করে থাকে।
অন্যদিকে এই গ্রামের কৃষি কাজ থেকে শুরু করে মাছ ও সবজি বিক্রির জন্য বাজারজাত করতে এই রাস্তাটির ওপর নির্ভর করতে হয়।
এদিকে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর মহিলা মাদ্রাসা, ছলেহিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিদিন এই রাস্তা আসা যাওয়া করে থাকে। বর্তমানে বৃষ্টির দরুণ কাদামাটি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা পাকাকরণের দাবি এখনো পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। শুধু দায়সারা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা জুড়ে হাঁটু সমান কাদা থাকায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। রাস্তার আশপাশের ঘরবাড়ির মানুষ অনেকটাই ঘরবন্দী জীবন-যাপন করছেন। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষার্থী বলেন, এমনিতেই এখানে সারাবছর কাদা থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরায় এলাকার শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে পারছেনা। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এলাকা বাসির পক্ষে ইউসুফ কাজী বলেন, রাস্তাটি নিয়ে আমরা বহুবার এলাকার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সকলের কাছে অাবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাই আজ আমরা নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসি সহযোগিতা নিজেরা চলাচলের জন্য বালু দিয়ে কিছু অংশের কাজ সম্পন্ন করেছি । সরকারিভাবে যদি কোন ব্যবস্থা হয় তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হব।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, রাস্তাঘাটের কাজ আমাদের না। এগুলো হলো এমপিদের কাজ। এই কথা বলে এড়িয়ে যায়।