তিনি থাকবেন সৃজনে-সংগ্রামে
মাহবুবুল আলম চুন্নু
আঁধারে আচ্ছন্ন থাকা জাতিকে আলোর পথে নিয়ে আসার ” আলোক বর্তিকা ” জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যার আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে গেলেও আমরা তাঁকে স্মরণ করব জীবন চলার প্রতিটি সংকটে।
পাকিস্তান আমলে সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষে, সকল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে যুক্ত ছিলেন । ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানের বাংলা অনুবাদে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি ড. কুদরত – ই – খুদা শিক্ষাকমিশনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৫ সালের পরে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সামাজিক – সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এবং একটি গণতান্ত্রিক – সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক সমাজ প্রতিষ্টায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে গেছেন।
আনিসুজ্জামান স্যার বাংলা একাডেমি পুরস্কার , একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “পদ্মভূষণ” লাভ করেন।
ড.আনিসুজ্জামান সব সময়ই Positive Mind ( ইতিবাচক মানসিকতা) এর ছিলেন। তিনি কখনও তাঁর ব্যাক্তিত্বের প্রসন্নতাকে ম্লান হতে দিতেন না। সৌজন্য – মমত্ব – ভাতৃত্ব ছিল তাঁর চরিত্রের ভূষণ। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন।
তিনি আমাদের জাতির মনন। তাঁর কর্ম – আন্দোলন – সংগ্রাম – রচনাবলি বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা হয়ে ফিরে ফিরে আসবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা , সংস্কৃতিজন পরম শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান স্যারের মহা প্রয়ানে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ এর পক্ষ থেকে তাঁকে লাল সালাম। মহান আল্লাহ পাক তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করে শেষ বিচারের দিনে তাঁকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন