থাকেন শহরে, সভাপতি হতে গ্রামের স্কুলে শিশুকে দুইবার ভর্তি !
হাজীগঞ্জ উপজেলায় একে একে বেরিয়ে আসছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে পদ পেতে বিভিন্ন অপতৎপরতা। কেউ দিচ্ছেন ভুয়া সার্টিফিকেট। কেউ কেউ দিচ্ছেন ভুয়া তথ্য। শুধু একটাই উদ্দেশ্য বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া।
এবার খোঁজ পাওয়া গেল হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ ইউনিয়নের কালচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ পেতে নিজের ৫ বছরের শিশুকে ভর্তি করালেন। ভর্তি শুধু এবার নয়, ভর্তি ২০১৯ সালেও একবার করেছেন। এবার আবার একই শ্রেণীতে ভর্তি দেখানো হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে থাকা কবির হোসেন এবারও সভাপতি হতে সকল অপতৎপরতা সমাপ্ত করেছেন। বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির চূড়ান্ত একটি তালিকা করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মলিনা রানী পাল বলেন, কবির হোসেনের শিশু সন্তান মাঝে মাঝে স্কুলে আসে। আর স্কুল তো এখন বন্ধ। তার শিশু ২০১৯ সালে একবার শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিল। এবার আবারও একই শ্রেণীতে ভর্তি দেখানো হয়েছে। শিশু ও শিশুর পরিবার থাকেন হাজীগঞ্জ বাজারে, গ্রামের স্কুলে মাঝে মাঝে শিশু আসে।
বিদ্যালয়ের নবাগত তালিকায় শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে পিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিল্লাল হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়। তিনি বলেন, ‘কাকে সভাপতি করা হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে আমাকে নাকি কমিটিতে রাখা হয়েছে।’
এ বিষয়ে কবির হোসেনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি আগেও এই কমিটির সভাপতি ছিলাম। এখন আবার ওই কমিটি আমাকে সভাপতি পদে স্থান দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে গ্রামে ষড়যন্ত্র হয়। সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আসছি। আবার নতুন করে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তার শিশু ভর্তি ও বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করা প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিশুকে আবারও শিশু শ্রেণীতে রেখেছি। তাকে মাঝে মাঝে আমি নিয়ে যাই।’
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সভাপতি হতে পারবেন। এই কবির হোসেন তার শিশু সন্তানকে ২০১৯ সালে একবার আবার ২০২০ সালে একবার মোট দুইবার ভর্তি দেখিয়েছেন। তার লক্ষ্য বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়া!