ছয় মাসের সন্তান রেখে প্রেমিকের কাছে গেলেন মা !
মতলবে প্রেমিকার সাথে প্রেমিকের ষোলকলা পূর্ণ। ৬ মাসের কন্যা সন্তানকে রেখে প্রেমিকের সাথে পলায়ন। ঘটনাটি ঘটেছে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চারটভাঙ্গা গ্রামে।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা রাজবাড়ির মো. আমিন পাটওয়ারীর ছেলে মো. হাছান পাটওয়ারীর সাথে ২০১৮সালের মে মাসে চারটভাঙ্গা গ্রামের সিরাজ উল্লার মেয়ে ফারজানা আক্তার মুন্নি (২০) এর বিবাহ হয়।
স্বামী মো. হাছান খাদ্য অধিদপ্তরে চাকুরী করে। বিয়ের ২ বছরের মাথায় ফারজানা আক্তার মুন্নির একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। শিশুটির নাম মনিহা আক্তার ইশ্রা। বয়স ৬ মাস। এরই ফাকে মুন্নির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চারটভাঙ্গা গ্রামের মো. লিটন প্রধানের পুত্র হাবিব প্রধানের সাথে। মুন্নি এরই ফাঁকে ৬ মাসের শিশু বাচ্চাকে রেখে প্রেমিক হাবিবের সাথে পালিয়ে যায়। মুন্নির পিতা সিরাজ উল্লা তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করে।
নিখোঁজ ডায়েরীর প্রেক্ষিতে মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। মুন্নি কখনো চারটভাঙ্গা কখনো রাজারগাঁও ও কচুয়া পালিয়ে বেড়ায়।
১৭ জুলাই শুক্রবার মুন্নিকে চারটভাঙ্গা গ্রাম থেকে উদ্ধার করে, মতলব দক্ষিণ থানায় নিয়ে আসে। মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচ জানান, ফারজানা আক্তার মুন্নির বাবা সিরাজ উল্লা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করে। সেই ডায়েরীর প্রেক্ষিতে আমরা অভিযান চালিয়ে মুন্নিকে চারটভাঙ্গা থেকে উদ্ধার করি। মুন্নির বাবার বাড়ি কালিকাপুর গ্রামে। আর স্বামীর বাড়ি কচুয়ার আলিয়ারা রাজবাড়ি।
মুন্নি জানায়, আমি আমার আগের স্বামী মো. হাছান পাটওয়ারীকে রোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক প্রদান করেছি। আমি হাছানের সাথে ঘর সংসার করিব না। বর্তমানে হাবিব প্রধান আমার স্বামী। সে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে। পরে মুন্নি ৬ মাসের শিশু সন্তানকে তার পিতার মাতার কাছে রেখে প্রেমিক হাবিব প্রধানের সাথে চলে যায়।
হাছান পাটওয়ারীর সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তালাকের কাগজ পেয়েছি।