হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ: কিছু স্মৃতি কিছু কথা (তৃতীয় পর্ব)

অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন
আপডেটঃ জুলাই ১৭, ২০২০ | ৮:৪৪
অধ্যাপক মোজাম্মেল হক চৌধুরী মোহন
আপডেটঃ জুলাই ১৭, ২০২০ | ৮:৪৪
Link Copied!

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক রতন সাহেবের সময়ের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে হয়। তাকে আমি সকল কাজেই সহযোগিতা করতাম। ফলশ্রুতিতে একদিন তিনি আমাকে অনুরোধের সুরে বললেন, “চৌধুরী, তোমাদের তো বাড়িতে অনেক গাছ আছে, কলেজের ফার্নিচারের সমস্যা। তুমি কলেজের জন্য ১০০ জোড়া টেবিল বানিয়ে দাও।” আমি না করতে পারিনি। বলেছিলাম, ” ১০০ জোড়া পারব না, ৫০ জোড়া দিব।” পরবর্তীতে তিনি অবশ্য ফার্নিচার বহন এবং মজুরি বাবদ কিছু অর্থ আমাকে দিয়েছিলেন । রতন সাহেবের পরবর্তীতে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল মান্নান সাহেব। তিনি বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। তার সময়ে কলেজের তেমন অগ্রগতি না হলেও স্থিতিশীল অবস্থা ছিল। মান্নান স্যারের একটি উক্তি এখনো মনে পরে টিএন্ডটির টেলিফোনে ডিসি অফিসে যোগাযোগের সময় প্রথমেই বলতেন, ” Principal Mannan speaking. ” এরপরের কথোপকথন বাংলাতেই হত।

কিছুদিন পরে তিনি বিদায় নিলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। তিনি কলেজের অবস্থান ধরে রাখতে মোটামুটিভাবে সক্ষম হয়েছিলেন। শহিদুল্লাহ সাহেব এর সময়ে নিয়োগ পান অধ্যক্ষ আব্দুর রব সাহেব। তিনি কেমন ছিলেন, ভালো কি মন্দ তা আমার পক্ষে বিশ্লেষণ করা কঠিন। তবে তিনি যে একজন ব্যতিক্রমী মানুষ ছিলেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এতটুকু বলা যায়, পূর্ববর্তী সময়ের অনেক অর্জন ই তার সময়ে ম্লান হয়ে যায়। এসবেরর জন্য নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চক্রই অনেকাংশে দায়ী ছিল। তিনি চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। কাজের কাজ তেমন কিছু না করতে পারলেও, তিনি একটি ভালো কাজের দাবী করতে পারেন। তা হলো তার সময়েই অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন সাবেক পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক (কুমিল্লা বোর্ড) আলহাজ্ব এ এইচ এম মহিউদ্দিন স্যার। তিনি কলেজে যোগদান করেই সিনিয়ার শিক্ষক এবং জিবির সদস্যদের এক সভা আহবান করেন। ঐ সভায় তিনি কলেজের উন্নয়নকল্পে একটি চাহিদা পত্র পেশ করেন। যার মাঝে শ্রেনীকক্ষ, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরি, শিক্ষক স্বল্পতা, সীমানা প্রাচীর,খেলার মাঠ, খেলাধুলার সরঞ্জাম ও নানাবিধ বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার কর্ম সময়ের মাঝে অসমাপ্ত উল্লেখযোগ্য কাজগুলো সুষ্ঠুভাবেই তিনি সম্পন্ন করে কলেজকে একটি গতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তার সাথে কলেজের এবং আমার কিছু স্মৃতির কথা উল্ল্যেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না। তিনি প্রতিদিনই কলেজে এসে গাড়ি থেকে নেমে ঘন্টাখানেক সময় নিয়ে শ্রেণীকক্ষের বারান্দা দিয়ে পায়চারি করতেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির পাশাপাশি শিক্ষকদের পাঠদানের পদ্ধতিও তিনি তীক্ষ্ণ ভাবে পর্যবেক্ষণ করতেন। কুমিল্লা থেকে আসা যাওয়ার পথে সহযাত্রী হিসেবে প্রায়ই থাকতাম আমি। আমাকেও তিনি এ ব্যাপারে ছাড় দিতেন না। একদিন কুমিল্লা থেকে উনার গাড়িতে কলেজে আসার পথে হঠাৎ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “আজকে আপনার ক্লাস কয়টায়?” জবাবে আমি বলেছিলাম, “এটা কি জিজ্ঞেস করলেন আপনি? আমি তো প্রতিদিনই ১০টায় আপনার সাথে যাই আবার ফিরি ও আপনার সাথে। ” একথা শুনে তিনি বললেন, “১০ টায় যদি আপনার ক্লাস থাকে?” তার জবাবে বলেছিলাম, “আমার ডিপার্টমেন্টাল কলিগ আব্দুল হক সাহেবের সাথে আমার কথা হয়েছে, ১২ টার পূর্বে আমার অনুপস্থিতিতে আমার ক্লাস সমূহ তিনি নেবেন।” আমার এই দায়িত্ব হক সাহেব পুরোপুরি পালন করেছেন। এজন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ।
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে নিচে ক্লিক করুন-

কিছু স্মৃতি, কিছু কথা ( ১ম পর্ব)

বিজ্ঞাপন


আর একদিনের ঘটনা, আমি শ্রেনীকক্ষে সম্ভবত হযরত ওমর এর শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তিনি পূর্বদিক এসে আমার কক্ষের সামনে অবস্থান নেওয়া মাত্রই আমি তার নাম ধরে ওমরের শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে উচ্চ স্বরে বাংলা ইংরেজি মিশিয়ে মহিউদ্দিন স্যারের শাসন ব্যবস্থার কথা বলতে থাকায় উনি মুচকি হেসে আমার ক্লাসের সামনে অবস্থান না করে চলে আসেন। তারপর আরেকদিনের ঘটনা, তার গাড়িতে করে আমি কলেজ থেকে কুমিল্লা যাচ্ছিলাম।যাওয়ার পথে হঠাৎ তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “মোহন সাহেব একটি ইংরেজী বলুন তো। ” আমি মনে মনে ‘ ইন্না লিল্লাহ ‘ পড়তে লাগলাম আর ভাবলাম এই বুঝি সব শেষ। উনি ঠান্ডা মাথায় বললেন, “সে কসাইয়ের দোকান থেকে মাংস কিনিয়াছে।” ইংরেজী টা আমার জানা ছিল না। যার ফলে আমি একথা সেকথা বলে তাকে ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু নাছোড়বান্দা মহিউদ্দিন স্যার। গাড়ি বিজড়া বাজারে পৌছালে উনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ”কই ইংরেজীটা তো বললেন না।” আমি সবিনয়ে বললাম, “স্যার ইংরেজীটা বললে আমার ভুল হবে। ” তিনি বললেন, “কসাইয়ের দোকান ইংরেজী হলো butcher shop. ” আমি বললাম, ” সেটা আমি জানি।” আসলে এই প্রথমই জানলাম। তিনি বললেন, ” Butcher shop এর আগে আপনি preposition কি দিবেন?” আমি বললাম, ” From.” তিনি ঐদিনের শ্রেণিকক্ষের ইংরেজী স্যারের নাম বলে বললেন, “তিনিও From ই দিয়েছিলেন ।” তখন আমি জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন, “এখানে preposition From হবে না At হবে। ” আমি হ্যা সূচক জবাব দিয়ে অন্য প্রসঙ্গে চলে গেলাম। আর একটি ঘটনা, একদিন অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আমরা তিন চারজন শিক্ষক ফরম পূরণের কাজ করছিলাম। ছাত্রদের মওকুফের জন্য আমি ইংরেজিতে কিছু রিকমেন্ডেশন করছিলাম, অধ্যক্ষ সাহেব তার টেবিলে মাথা নীচু করে কিছু লিখছিলেন। আমার এই লেখা দেখে আমার পাশে বসা ইংরেজীর স্বপন স্যার, আমাকে বললেন, ” কার কাছে ইংরেজী লিখেন?” প্রতিউত্তরে আমি বলিষ্ঠভাবে বলেছিলাম, “ইংরেজি দু এক লাইন লিখলে এবং বললে তো প্রিন্সিপাল মহিউদ্দিন স্যারের সাথেই বলা যায়। ” একথা শুনে অধ্যক্ষ সাহেব আস্তে করে মাথাটা উঠান এবং স্বপন স্যার পুনরায় জিজ্ঞেস করেন, “আপনার এ কথার ব্যাখা?” জবাবে আমি বলি, “মহিউদ্দিন স্যার ইংরেজীর মানুষ, আমি ভুল বললে বা লিখলেও উনি তা সংশোধন করে দিতে পারবেন।” একথা শুনে অধ্যক্ষ সাহেব মুচকি হেসে পুনরায় তার লেখার কাজে মনোনিবেশ করেন আর স্বপন স্যার হেসে বলে উঠেন, ” সত্যি, আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ।”

অধ্যক্ষ সাহেব দুপুর বেলা রুটি ভাজি খেতেন এবং খাওয়ার পার্টনার হিসেবে অধিকাংশ সময়েই থাকতাম আমি, স্বপন স্যার সহ আরো দু-একজন। একদিনের ঘটনা, আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ্যের টেবিলে বসা।সবাইকে তিনি রুটি খেতে বললেন। সবাই খাওয়া শুরু করলেও আমি খেলাম না।এ দেখে অধ্যক্ষ সাহেব আমাকে পুনরায় খাওয়ার আহবান জানালে আমি বলি, ”আজ আমি খাব না।কারণ আমি এখনই জরুরী কাজে বাসায় চলে যাব। ” একথা শুনে অধ্যক্ষ সাহেব মুচকি হেসে বললেন, “আরে পাগল, কাজ থাকলে যাবেন। কিন্তু এখন রুটি খেতে দোষ কি?” একথা বলায় আমিও অন্যদের সাথে খেতে শুরু করি। স্বপন স্যার প্রায়শই ইংরেজির খুটিনাটি বিষয় নিয়ে স্যারের সাথে আলোচনা করতেন। তিনি একজন নির্ভীক, কঠিন মানসিকতার অধিকারী এবং ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। নিয়ম বহির্ভূত আবদার রোধকল্পে এক দিন তিনি বাধ্য হয়ে অফিস বন্ধ করে নৌকাতে উঠে যান এবং মাঝ নদীতে এসে কিছু ছাত্র ছাত্রীর ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করেন এবং ঘোষণা দেন, “ফরম পূরণ আজকেই শেষ।” আসলে এটা ছিল কলেজের উন্নয়নের স্বার্থে তার একটি কৌশল মাত্র। অধ্যক্ষ সুখলাল বাবু থেকে অধ্যক্ষ মিহির কান্তি রায় পর্যন্ত যতজন অধ্যক্ষকে আমি পেয়েছি, আমার বিবেচনায় মহিউদ্দিন স্যার ই ছিলেন হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ।
প্রথম পর্ব পড়তে নিচে ক্লিক করুন-

কিছু স্মৃতি, কিছু কথা ( ১ম পর্ব)

বিজ্ঞাপন


মহিউদ্দিন সাহেবের পরে হাজীগঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন আরেক স্বনামধন্য ব্যাক্তি, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অবসরপ্রাপ্ত মেজর প্রফেসর আব্দুল হাফিজ। অমায়িক মানুষ ছিলেন তিনি। শিক্ষক বান্ধব অধ্যক্ষ হিসেবে আজও অনেক শিক্ষক হাফিজ স্যারকে স্মরণ করে। হাফিজ স্যার ও হাজীগঞ্জ কলেজের শিক্ষকদের মমত্ববোধের কথা ভুলে যাননি। হাজীগঞ্জ কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষকতার পাশাপাশি পেশাগত অনেক দায়িত্ব প্রাপ্ত হন এই হাফিজ স্যারের মাধ্যমে। তার কাছে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক ঋণী। কুমিল্লা বোর্ডের প্রধান পরিক্ষক, যশোর ও রাজশাহী বোর্ডের প্রশ্ন প্রণেতা, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের ট্রেবুলেটার এবং যশোর বোর্ডের মডারেশনের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে হাফিজ স্যারের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট। তিনি শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয় অনেক শিক্ষকদের কল্যানের ক্ষেত্রেই যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন। যার জন্য হাজীগঞ্জ কলেজের শিক্ষকরা আজও হাফিজ স্যারকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।
হাফিজ স্যার চলে গেলে, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হাজীগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন সফিকুর রহমান মজুমদার। সহজ-সরল ও ধর্মপ্রাণ এই মানুষটি কলেজের উন্নয়নকল্পে তার সাধ্যের সবটুকুই ব্যয় করেন। সত্যিকার অর্থে তার সময়ই আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম ভালো ছাত্র না পেলে ভালো ফলাফল করা কঠিন। ভালো ছাত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেক ত্যাগ তিনি স্বীকার করেছেন এবং আমাদেরকে ভর্তির কাজে অকৃপণভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। একদিন আমার এলাকার একজন মেধাবী ছাত্রকে তার কক্ষে নিয়ে আসি পড়ন্ত বিকালে। তিনি ছেলেটিকে একটি ইংরেজী জিজ্ঞেস করেন। ছেলেটি সঠিক জবাব দেয়। তাৎক্ষণিক প্রিন্সিপাল সাহেব চেয়ার ছেড়ে উঠে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরেন এবং আবেগের সহিত জানতে চান, ” বাবা, তুমি কি হতে চাও?” ছাত্রটি জবাব দেয়, “আমি ডাক্তার হতে চাই।” অধ্যক্ষ সাহেব বলেন, ” আমার ছেলে এফসিপিএস পার্ট টু করছে। ” এ কথা বলেই তিনি তার ছেলেকে টেলিফোন করে বলেন, “এই মেধাবী ছাত্রটি ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়। এ ব্যাপারে তুমি তাকে সঠিক পরামর্শ দাও।” ১৫ মিনিটের কথোপকথনে ও প্রান্ত থেকে কি কথা হয়েছিল তা জানতে পারি নি কিন্তু যেই ছেলেটি এই কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছিলো না, পরের দিনই সে এই কলেজে ভর্তি হয়ে যায়। ছেলেটি আর কেউ না। তার নাম মুন্না। ডাক্তার হতে পারে নি সে কিন্তু ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে সে বর্তমানে গাজীপুরে BARI এর একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। এভাবে প্রচুর মেধাবী ছাত্র ছাত্রী অধ্যক্ষ সাহেবের তত্বাবধানে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলে কলেজ ও তাদের প্রতি সকল ক্ষেত্রে সুবিচার করে। ফলশ্রুতিতে এইচএসসি তে ভালো ফলাফল করে ঐসময়ের অনেক ছাত্র ছাত্রী দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ভর্তি হতে সক্ষম হয়।

সফিক সাহেবের পরে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন রতন। তার সময়ই নিয়োগ পান বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান প্রফেসর মিহির কান্তি রায়। নিঃসন্দেহে একজন জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। ছোট্ট গড়নের বলিষ্ঠ কন্ঠের এই মানুষটি যখন কোন আলোচনায় বক্তব্য রাখতেন, মন্ত্রমুগ্ধের মত উপস্থিত সবাই তার কথা শুনতেন। তার বক্তব্যের মাঝে অনেক কিছুই শিক্ষনীয় ছিল।কলেজকে একটি কঠিন শৃঙ্খলের মাঝে পরিচালিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কলেজের কল্যাণে অবসর জীবনে দায়িত্ব নেয়া এই মানুষটি সকল ক্ষেত্রে সফল না হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ : কিছু স্মৃতি কিছু কথা

অধ্যক্ষ মিহির কান্তির পরে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পর্যায়ক্রমে সুধীর রঞ্জন নাথ এবং অনীতা পাল। তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমার তেমন বলার কিছু নেই কারণ মিহির কান্তি রায়ের সময়কালেই আমি অবসরে আসি। ২০১৬ সাল থেকেই হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন জনাব মাসুদ আহাম্মেদ সাহেব। তার সম্পর্কে আমার বেশি কিছু লিখার নেই। তবে এতটুকু বুঝি, তার যোগদানের পূর্বে যারা এ কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন তারা সবাই বর্তমান অধ্যক্ষ সাহেবের প্রতি সন্তুষ্ট। সে ব্যাখা এই ছোট্ট পরিসরে নাই বা করলাম। এই কলেজে তার যোগদানের পরে উন্নয়নের ছোয়া এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন অধ্যক্ষ সাহেবের সুরুচির প্রমাণ স্পষ্টতই পরিলক্ষিত হয়।প্রত্যাশা থাকবে আগামী দিনগুলিতেও তিনি এই ধারা অব্যাহত রাখবেন।

(আগামী পর্বে কৃতি শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, ছাত্র নেতাদের অবস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধে ডিগ্রি কলেজের ভূমিকা প্রসঙ্গে লেখা হবে।)
পপুলার বিডিনিউজ ডটকম এর পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

শুকরান হাসপাতাল

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
দেশে এখন নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার জরুরি: জামায়াত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি টানা বৃষ্টিতে ফের ডুবছে নোয়াখালী, পানিবন্দি ১২ লাখ মানুষ হাজীগঞ্জে শিক্ষক দিবসে আলোচনা সভা ও র‌্যালি হাজীগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোংলায় ১০ গ্রেড বাস্তবায়নে শিক্ষকদের মানববন্ধন  কচুয়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  চাঁদপুরে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশত  টানা বৃষ্টিতে হাজীগঞ্জে জলাবদ্ধতায় পানি বন্দি মানুষ  চাঁদপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, জেলাজুড়ে জলাবদ্ধতা হাজীগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু ব্যারিস্টার টিপুকে হত্যা চেষ্টায় মতলব উত্তরে সাবেক মন্ত্রী পুত্র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা ফরিদগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৮ শিক্ষার্থীকে পাঠদান দিচ্ছে একজন শিক্ষক দ্বারা! বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ এইচএসসি পরীক্ষার ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই নতুন রেকর্ড গড়লেন জ্যোতি ‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে গুম কমিশন, জমা পড়েছে ৪০০ অভিযোগ দুই দিনের বৃষ্টিতে হাজীগঞ্জে জলাবদ্ধতা