কালচোঁ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মজুমদারের কিছু কথা
আমি আনিসুর রহমান মজুমদার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছি।
আমাকে নিয়ে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করার অর্থ আত্মসাৎ ও রাজনৈতিক হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। একটি চক্র তাদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি আমার পক্ষে এলাকাবাসী তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চক্রটি সর্ম্পকে তিনি বলেন, সড়কের পাশে সরকারী সম্পত্তি দখল করে মার্কেট নির্মাণ, বিএনপির রাজনৈতিক অর্থযোগানদাতা ব্যক্তি এখন আওয়ামীলীগের বড় নেতা পরিচয় দিয়ে আসছে। তারা আলোচিত সাহেদের মতো সরকার বদল হলে নিজের স্বার্থের জন্য দল বদলায়। ওই চক্রটি উপজেলার বিভিন্ন নেতাদের নাম ব্যবহার করে রামপুর বাজার তথা ইউনিয়নে দাপুটেপনা দেখাচ্ছে। শিগগির এসব বিষয়ে আওয়ামীলীগ উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমি হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিয্যবাহী রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, স্বচ্ছ ইমেজের রাজনীতিবিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, গরীবের বন্ধু, দানবীর, শিক্ষানুরাগী, রামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর পর দুই বারের সাবেক সফল এবং উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক দুইবারের শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী সনদ প্রাপ্ত সভাপতি এবং ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বনামধন্য সাধারণ সম্পাদক।
একটি কুচক্রী মহল অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হইয়া অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কল্পনাপ্রসূত উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং হয়রানি করার জন্য অপপ্রচার করেছে আমরা ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নবাসী তাহার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলছেন, আমি আনিসুর রহমান মজুমদার বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত সকল কার্যক্রম সদস্যদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিধি ও রেজুলেশন করে পরিচালনা করে আসছেন। গাছ বিক্রির রেজ্যুলেশন এবং যথাযথ নিয়ম অবলম্বন করে ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া সমাপ্ত করে গাছ বিক্রি করেছি। টিনের ঘর বিক্রিসহ বিদ্যালয়ের যে কোন খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ রুপালী ও মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড রামপুর বাজার শাখায় প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাব নাম্বারে জমা প্রদান করা হয়েছে।
পরিশেষে তিনি বলেন, সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করা যায়না। সত্য চিরকালই সত্য। সত্যের জয় হবেই হবে। কেননা মিথ্যা তুমি দশটি পিপড়াঁ। সত্যের আলোকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সকল অভিভাবক ও ইউনিয়ন বাসীকে সজাগ থাকতে হবে। এ বিষয়ে বিব্রত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদে এসেছি মাত্র, করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে দান অনুদান অব্যাহত রেখেছি, এসব অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাৎ করার চিন্তা চেতনা আমার নেই। প্রয়োজনে অনিয়মের কোন সত্যতা প্রমাণ করতে পারলে আমি আর কোনদিন এলাকাবাসীকে মুখ দেখাবো না।
রাজনৈতিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার রাজনীতি নিয়ে যারা কথা বলেন, তারা হয়তো অনেকেই জানেন না, আমার বাবা আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। আমাদের পরিবার স্বাধীনতা পক্ষের নৌকার কান্ডারী। ১৯৯৬ সালে বর্তমান সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি আমাদের ঘরে গিয়েছিলেন। আমি তখন থেকে ছাত্র রাজনীতি থেকে সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করে আসছি। যে কারণে গত আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন। যারা আমার কারণে অনিয়ম করার সুযোগ পায়না, তারাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে তথ্য রটাচ্ছে।
নিবেদক
আনিসুর রহমান মজুমদার
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।