রাস্তায় দুর্ভোগ, বাড়ছে দুর্ঘটনা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজ ও রাস্তার বেহাল দশা বিরাজ করছে।
ব্রিজটির দু’পাশে মাটি না থাকায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। রাস্তা থেকে ব্রিজে উঠতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন।
সম্প্রতি ব্রিজ ও রাস্তায় জনদুর্ভোগ দেখে জনস্বার্থে ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট করতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন স্থানীয় সিএনজি চালক সুমন খাঁন। বর্তমানে তিনি হাসপতালে চিকিৎসাধীন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ছোঁয়া লাগলেও রাস্তাটি অবহেলিত রয়ে গেছে। সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, ইছাপুরা পাটওয়ারী (চন্দের) বাড়ি থেকে সাহাপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত এক কি. কাচা রাস্তার সংস্কার নেই দীর্ঘদিন ধরে। ফলে রাস্তার বড় বড় গর্তগুলো এখন এক একটি বিষপোঁড়া। একটু বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি, হয়ে যায় কর্দমাক্ত ফসলের মাঠের মত।
পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের কবি রূপসা, জামালপুর, বালিছাটিয়া, নদৌনা, দায়চারা, চৌঁমুখা, ইছাপুরা সহ ইউয়িনয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিনি শত শত যাত্রী ও মালাবাহী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু, বর্ষা মৌসুম আসলে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে হয় উপজেলা সদরে ।
সম্প্রতি ব্রিজ ও রাস্তায় জনদুর্ভোগ দেখে জনস্বার্থে ব্রিজের দু’পাশে মাটি ভরাট করতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন স্থানীয় সিএনজি চালক সুমন খাঁন। বর্তমানে তিনি হাসপতালে চিকিৎসাধীন। করোনার এ মহাসংকটে একমাত্র উর্পাজনক্ষম ব্যক্তি কর্মহীন হয়ে পড়ায় সুমন খাঁনের পরিবারের স্ত্রী সন্তানরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে সুমন খাঁন এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের এলাকার রাস্তাটির কোন প্রকার কাজ করতে দেখা যায়না। চলাচলের অনুপযোগী রাস্তাটি কোন ভাবে কস্টে পার হতে পারলেও এ ব্রিজটির দু’পাশের মাটি না থাকার কারনে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এদিকে, রস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।