পাঁচ হাজার টাকা করে সরকারী প্রণোদনা পেলেন কারা? ( প্রথম পর্ব )
হাজীগঞ্জ উপজেলায় করোনা সময়ে শিক্ষাখাতের হালচাল নিয়ে ধারবাহিক পাঁচ পর্বের আজ প্রথম পর্ব। করোনা সময়ে হাজীগঞ্জ উপজেলায় নন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মাঝে করোনাকালীন প্রণোদনা পেলেন কারা?
সরকারের এই সুবিধা নিতে কিভাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে তালিকা করে প্রণোদনা দিয়ে দেয়া হয়েছে, তা জানতে গিয়ে জানা গেলো- ওই তালিকার ৯১ জন পেলেন সরকারী প্রণোদনা।
প্রণোদনা পাওয়া তালিকায় দেখা গেছে, হাজীগঞ্জ আল-কাউসার স্কুলেই প্রণোদনা পেলেন ৩২ জন। আর অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আল বান্না হাইস্কুলের ১৩ জন, একুশে গার্লস স্কুলের ১২ জন, বোরখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের চারজন, হাজীগঞ্জ কমার্স কলেজের ৯ জন, দেশগাঁও কলেজের ৯ জন, নাসিরকোট ডিগ্রী কলেজের ৭জন, হাজিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ৫ জন শিক্ষক ও কর্মচারীদের মাঝে এই প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
অথচ এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষক এবং নীতি নির্ধারকরা সরকার বিরোধী কার্যকলাপ ও সরকারের সমালোচনায় লিপ্ত।
এই প্রণোদনার তালিকায় ৮০ জন শিক্ষক পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা, বাকি ১১ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অফিস সহায়ক হিসেবে দুই হাজার ৫’শ টাকা করে পেয়েছেন।
তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই তালিকার মধ্যে অফিসের কম্পিউটারম্যান ও অফিস সহকারীরা প্রভাষক এবং শিক্ষক নাম বসিয়ে নিয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা নিয়েছেন।
সরকারের আরো একটি প্রণোদনা প্রকল্পের মধ্য থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ২৭ জনকে দেয়া হয়েছে আর্থিক অনুদান। তার মধ্যে দেখা গেছে, হাজিগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, হাজীগঞ্জ পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার একজন করে, আলিয়া মাদ্রাসার পাঁচজন, আল কাউসার স্কুলের ১০ জন, বেলচোঁ মাদ্রাসার ১০ জন ছাত্র পেয়েছেন এই আর্থিক অনুদান। এর মধ্যে সাত জনকে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা করে, ২০ জনকে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। আর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজারগাঁও ফাযিল মাদ্রাসাকে দেওয়া হয়েছে ২৫ হাজার টাকা অনুদান।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসাইন বলেন, আমরা এখানে রাজনৈতিক বিষয় নির্ণয় করেনি। যারা আবেদন করেছেন,তারাই পেয়েছেন।
হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিবছর অনলাইন জরিপের মাধ্যমে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নন এমপিও শিক্ষকদের তালিকা চাওয়া হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো সঠিকভাবে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নন এমপিও শিক্ষকদের নামের তালিকা না দেয়ায় তালিকাটি এমন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, তালিকাটি করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। আমার কাছে শুধু চেক এসেছে। আমি তা দিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রণোদনা পাওয়ার যোগ্য কেউ অভিযোগ দিতে হবে, তাহলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
‘শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বে পড়ুন- এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার যোগশাজসে এই তালিকা’