‘স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি জনগণের শেষ অধিকার লুণ্ঠনের সামীল’
স্বাস্থ্য খাতের ভয়াবহ দূর্নীতি’কে জনগণের শেষ অধিকারটুকু লুণ্ঠনের শামীল উল্লেখ করে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা’র ভাইস-চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারী বলেছেন, করোনা’র ভয়াবহ দূর্যোগে যখন বাতাসে লাশের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে তখন আমাদের দেশের একশ্রেণীর ডাকাতরা স্বাস্থ্য খাতে দূর্নীতির ভাগ বসিয়ে উল্লাস করছে। তিনি বলেন, এটা কেমন করে সম্ভব মাত্র এক মাসে ২০০ জন ডাক্তারের নাস্তার নামে কলা, রুটির খরচ ২০ কোটি টাকা? নাকি আমলারা দূর্নীতির পাহাড় বেঁধে ডাক্তারদের উপর দায় চাপাচ্ছেন?
তিনি বলেন, কি অপরাধ মজলুম মানুষের করোনা পজেটিভ হলে ডাক্তার’রা পাবেন ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আর এখানেই চলছে করোনা’র নেগেটিভ, পজেটিভ খেলা। অথচ ক্ষুধার্ত মানুষের করোনা পরীক্ষায় বরাদ্দ করা হলো ২০০ টাকা । অবিলম্বে করোনা পরীক্ষার উপর ২০০টাকা বরাদ্দ বাতিল করুন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা’র মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, প্রতিনিয়ত দেশের কোথায়ও না কোথাও নারী ও শিশুরা ধর্ষিত হচ্ছে, খুন হচ্ছে আর ধর্ষকরা উল্লাস করছে। ভিকটিমরা ন্যায় বিচার না পাওয়ার কারণে সমাজে আজ ধর্ষক নামে কাপুরুষরা জোট বেঁধেছে। তিনি বলেন বর্তমানে ধর্ষণ নামে সামাজিক ব্যাধী আইনের দুর্বল প্রয়োগের সামিল। তাই এমন ঘটনা প্রতিদিন গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। মানবিক দেশ ও সমাজ গড়ি।
৩ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগে সারাদেশে অব্যাহত নারী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে এবং স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এশিয়ান মানবাধিকার সংস্থার ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রধান সমন্বয়কারী সাংবাদিক মো. আশিকুর রহমান আশিক এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসমত উল্লাহ, আবু মোজাফফর মো. আনাছ, শেখ জামাল উদ্দিন। যুগ্ম মহাসচিব রাইসুল ইসলাম চন্দন, এড. হাবিব মিয়াজী, সদস্য নাফিস মামুন, মো. আতাউর রহমান, মো. নাসরুল্লাহ সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।