সুমনের বক্তব্য ‘অসংলগ্ন’
বুড়িগঙ্গায় মর্নিংবার্ড লঞ্চটি ডুবে যাওয়ায় ১৩ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়া সুমন বেপারীর বক্তব্যকে ‘অসংলগ্ন’ বলে মনে করছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। তার বক্তব্যে ১৩ ঘণ্টা পর বেঁচে আসার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তারা।
লঞ্চডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাক্ষ্য নিচ্ছে। উদ্ধারের পর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন সুমন। সেখান থেকেই বুধবার (১ জুলাই) তদন্ত কমিটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন সুমন।
তদন্ত-সংশ্নিষ্ট একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, সুমনের বক্তব্য কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধরে রেকর্ড করা হয়েছে। সুমন বলেছেন, তিনি লঞ্চে ঘুমিয়ে ছিলেন। ডুবে যাওয়ার বিষয়টি তার মনে পড়ছে না। উদ্ধারের পর সবকিছু জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ভেতরে হাঁটুপানি ছিল। পুরো রুমটা অন্ধকার ছিল। তার জ্ঞান ছিল না। ডুবে যাওয়ার সময় তার পেটেও পানি চলে যায়
তদন্ত কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম সুমনের বক্তব্য নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩ ঘণ্টা ধরে ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতরে তিনি কীভাবে থাকলেন, তার বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়নি। সংশ্নিষ্ট অনেকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য বলেন, সুমন ইঞ্জিন রুমে আটকা পড়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। একবার বলেছেন, ভেতরে অন্য কাউকে দেখেননি। পরক্ষণেই আবার বলেছেন, ভেতরে লাশ দেখা গেছে। তার বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হয়েছে। তার আরও বক্তব্য নেয়া হবে। তিনি কিছুটা অসুস্থ। সুস্থ হলে প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলা হবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে না।
তদন্ত কমিটির কাছে ঘুমিয়ে থাকার কথা বললেও উদ্ধারের পর সুমন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রথম দিকে পেটে একটু পানি প্রবেশ করলেও বাকি পুরো সময়টা নিরাপদে ছিলেন তিনি।
সুমন আরও বলেছিলেন, আমি তো মনে করেছি ১০ মিনিটি হয় আটকে আছি! পানির উপর উঠে এসে শুনি ১৩ ঘণ্টা হয়েছে। আল্লাহপাক যা চায় তাই হয়। কারণ আমি তো ওইখানে মৃত্যুবরণ করতে পারতাম। পানির নিচে থাকা অবস্থায় পানি খেয়েছিলাম। কিন্তু প্রস্রাব করার পর পেট ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এরপর উপরে উঠে আসি!
(সময় টিভি)