ফরিদগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলন
ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্লাটুন কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্পের কমিটিতে নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করার পাঁয়তারার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে মুক্তিযোদ্ধারা।
২৪ জুন বুধবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পড়েন মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী সওদাগর ।
তারা জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কিছু কুচক্রিমহল স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টায় বিভিন্ন নামে আত্মপ্রকাশ করে। তার মধ্যে ফরিদগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন ভুঁইয়া নিজেকে যুদ্ধকালীন সময়ে স্বঘোষিত প্লাটুন কমান্ডার দাবী করে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনা করে আসছে। সর্বশেষ অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসিক প্রকল্পের জন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়। ওই কমিটিতে আলী হোসেন ভূঁইয়া নিজেকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শহীদ উল্ল্যা তপাদার, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. সারওয়ার হোসেন, সহকমান্ডার (সাংগঠনিক) তাফাজ্জল হোসেন, সহকমান্ডার মোহাম্মদ উল্যা তালুকদার, সৈয়দ আহাম্মদ, বাচ্চু মিয়া ভাসানী, গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়াসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে কমান্ডারবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে এই হীন কার্যের চেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলী হরির কাছে স্মারক লিপি দিয়েছেন। যেখানে আলী হোসেন ভূইয়াকে এই আবাসন প্রকল্পের কমিটিতে কোন ভাবেই যেনো অন্তর্ভুক্ত করা না হয়,সেই দাবী করা হয়।
এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন জানান, তাকে এমপির প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিটিসহ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সকল কমিটিতে অর্ন্তভুক্ত করার জন্য এমপি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু এতে বাদ সাদতেই এই আয়োজন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা আবাসিক প্রকল্পের সভাপতি শিউলী হরি জানান, তিনি স্মারক লিপি পেয়েছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন। এছাড়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে বাড়ি পায় সেই জন্য সকলে সহযোগিতা করা উচিত।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসিক প্রকল্প তৈরির লক্ষে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করেছে। ইতিমধ্যেই ফরিদগঞ্জে ২০৮জন মুক্তিযোদ্ধা এই ঘরের জন্য আবেদন করেছে। কমিটির সদস্য নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান না হলে থেমে যেতে পারে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর প্রাপ্তির আশা ।