ধড্ডা গ্রাম ও একঝাঁক সমাজসেবী
ধড্ডা গ্রামে আমার দেখা অনেক জ্ঞানী-গুণী, বিজ্ঞ বিজ্ঞ, ধার্মিক উচ্চশিক্ষিত, টাকাওয়ালা, বিপুল ধন সম্পদের অধিকারী, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ভাই বোন অনেকেই সমাজের জন্য যার যার অবস্থান থেকে দান অনুদান সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। তাদের মাঝে তিনজন ব্যক্তি ভিন্নভাবে দেখে আসছি।
প্রথমত মরহুম আব্দুল গনি মাস্টার। তিনি ৫০/৬০ জন লোককে গভর্মেন্টের চাকরি দিয়ে স্টাবলিশ করেছেন।
যাদেরকে চাকরি দিয়েছেন তাদের পরিবার-পরিজনের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে ভালো অবস্থানে আছেন। ধড্ডা গ্রামের প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে হাজার হাজার ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত মরহুম আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী যিনি নিজের অর্থায়নে এই গ্রামে একটি ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে হাজার হাজার ছেলে মেয়েদেরকে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেন। ওই ছেলে মেয়েগুলো আজ সামাজিক রাজনীতি ভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে। এবং মরহুম চৌধুরী সাহেবের বহু পরিবারকে বাকিতে অথবা যৎ সামান্য টাকা দিয়ে প্রবাস গিয়েছেন এতে করে বহু পরিবার সামাজিকভাবে আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন।
তৃতীয়ত অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক। তাঁর অবদান হাজিগঞ্জ-শাহরাস্তি সহ টোটাল চাঁদপুরের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে অনেক ভূমিকা রেখেছেন। আমি সংক্ষিপ্ত কয়েকটি নাম উল্লেখ করছি- হাজীগঞ্জ উত্তরে রেললাইন থেকে শুরু করে রাস্তার উপরে কার্পেটিং নির্মাণ পাকা সড়ক ইটের সলিং কালভার্ট নির্মাণ বোয়ালজুর খালের উপর ব্লক বসিয়ে ধড্ডা গ্রাম হয়ে রঘুনাথপুর পর্যন্ত পাকা সড়ক নির্মাণ করেছেন।
বৃহত্তর হাটিলা ইউনিয়ন বৃহত্তর কালচোঁ ইউনিট ইউনিয়ন ৫নং সদর, বড়কুল এলাকা সহ শতাধিক ব্রিজ নির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।
ধড্ডা গ্রামের এমন কোন বাড়ি নাই, যে বাড়িতে অধ্যাপক ফজলুল হক সাহেবের দান-অনুদান পৌঁছেনি। অনেকের মেয়ের বিয়ের টাকা,অনেকের ছেলের বিদেশ অথবা প্রবাসে যেতে টাকা দিয়া সহযোগিতা করেছেন।
অনেকেরই স্ত্রীর হসপিটালের বিলের টাকা পরিশোধ অনেকের ছেলে-মেয়ের কলেজে ভর্তির জন্য টাকা বই খাতা কাগজ কলম ভালো শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান, ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণ, দরবেশ গঞ্জ হাই হাই স্কুলের ছাত্রাবাস নির্মাণ কয়েকটি স্কুলের মাঠ বলার জন্য উন্নয়ন, মাদ্রাসা মসজিদের বিভিন্নভাবে উন্নয়ন উন্নয়ন করেছেন।
তাছাড়া হাজিগঞ্জ-শাহরাস্তি এবং চাঁদপুরের বহু নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক সামাজিক ভাবে স্টাবলিশ করে দিয়েছেন।
একাত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় জাতীয় নেতা মরহুম নুরুল ইসলাম সাহেব ও অধ্যাপক ফজলুল হক সাহেব উভয় মিলিয়া তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমিন খানকে হেলিকপ্টারে এনে দীঘি খনন করেন, পাতানিশ-সাড়াশিয়া নোয়াপাড়া-নিশ্চিন্তপুর-সুহিলপুর-বাউরা-খাগরিয়া -কাদলা – কালচোঁ-মাড়কী-মহব্বতপুর-রঘুনাথপুর তারা পাল্লা সহ বহু মানুষের জীবন পেটের ভাত যুগে জীবন রক্ষা করেন তিনি।
তারপর যাদের অবদান না বললে নয়। যেমন মরহুম মোহাম্মদ আলী, ডাক্তার সুজিত আলী মোল্লা, আব্দুল মজিদ মোল্লা সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ও অনেককে চাকরি দিয়ে অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক ডাক্তার নিজাম উদ্দিন চৌধুরী অনেকে মরণব্যাধি নিয়া উনার কাছে গিয়েছেন উনি বিভিন্নভাবে ঔষধ দিয়া টাকা দিয়া বিনা পয়সায় চিকিৎসা করে সামাজিকভাবে অনেক অবদান রেখেছেন।
জহিরুল ইসলাম বাবুল, হুমায়ুন কবির লিটন, এ কে এম মুজিবুর রহমান সামাজিকভাবে অনেককে সহযোগিতা করছেন। তাছাড়াও সামাজিকভাবে যার যার স্ব-স্ব অবস্থান থেকে ও ভাই বন্ধু আছেন, তারা দান অনুদান গোপনে প্রকাশ্য দিয়ে আসছেন। প্রত্যেকের মঙ্গল কামনা করছি।