দেশে করোনায় আক্রান্ত ৮০ হাজার ছাড়িয়ে
সবশেষ চব্বিশ ঘণ্টায় রেকর্ড ৩ হাজার ৪৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই দিন মৃত্যুতেও রেকর্ড হয়েছে। তাতে মোট মৃত্যু বেড়ে এগারোশো ছুঁই ছুঁই করছে।
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শুক্রবার জানানো হয়, শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে কভিড-১৯ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজার ৫২৩ জনে।
সবশেষ একদিনে সর্বোচ্চ ৪৬ মৃত্যু নিয়ে করোনায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ জনে।
নতুন ৫০২ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।
আইইডিসিআরের উপাত্তে দেখা যাচ্ছে সাধারণ ছুটি উঠিয়ে নেওয়া এবং যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার পর থেকেই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে আরও দ্রুত গতিতে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়ায় গত ২৮ মে। পরের দশ হাজার রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। অর্থাৎ ২ জুন দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়ে যায়।
আরও ১০ হাজার রোগী যোগ হয় ৫ জুনের মধ্যে; এদিন দেশে কভিড-১৯ রোগী ছিল ৬০ হাজার ৩৯১ জন। চার দিনে যুক্ত হয় ১১ হাজারের বেশি রোগী। অর্থাৎ ৯ জুন দেশে করোনা আক্রান্ত দাঁড়ায় ৭১ হাজার ৬৭৫ জনে। সবশেষ তিন দিনে যুক্ত হলো আরও প্রায় ১০ হাজার রোগী।
গত ২০ এপ্রিল দেশে কভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল। সেই জায়গা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০১ জনে দাঁড়ায় ২৫ মে। সময় লাগে এক মাস পাঁচ দিন।
মৃত্যুর সংখ্যা বাকি ৫০০ হয় আরও দ্রুত গতিতে। মাত্র ষোলো দিনে নতুন ৫১১ মৃত্যু নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়ায় ১০ জুন। এক হাজার ১২ জন থেকে সংখ্যাটি ১ হাজার ৯৫ এ দাঁড়াল মাত্র দুই দিনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.৭১ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১.১৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৩৪ শতাংশ।