ইউটিউবের ভিডিও কোয়ালিটিতে পরিবর্তন
ব্যান্ডউইথের ‘অপচয়’ কমাতে এবং নিজেদের সার্ভারের চাপ সামলাতে ভিডিও কোয়ালিটি কমিয়েছে ইউটিউব। এক মাস ধরে এই অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে গোটা পৃথিবী লকডাউন অবস্থায় চলে যাওয়ায় ইউটিউবের উপর চাপ পড়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে বেশি হারে সাধারণ মানুষ এখন এই ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটে ঢুঁ মারছেন।
ইউটিউবের আগের পলিসি অনুযায়ী, ইন্টারনেট স্পিড বেশি থাকলে ভিডিও কোয়ালিটি বেশি থাকতো, স্পিড কম থাকলে কমে যেত। নতুন সিদ্ধান্তেও কোয়ালিটি বাড়িয়ে ভিডিও দেখা যাবে, তবে ম্যানুয়ালি সেট করে নিতে হবে। স্পিড বেশি থাকলেও আপনা-আপনি বাড়বে না।
গত মঙ্গলবার থেকে কিছু ব্যবহারকারীর চ্যানেলে ভিডিও কোয়ালিটি হ্রাস পাওয়া শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবীর সব ব্যবহারকারীর চ্যানেলে এই অবস্থা হবে।
মাসে ২ বিলিয়নের মতো ব্যবহারকারী আছে ইউটিউবের। গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করে যাচ্ছি। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা যেন ভেঙে না পড়ে সেই চেষ্টা করছি।’
ইউটিউবের মতো নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম এবং ডিজনি প্লাসও ভিডিও কোয়ালিটি কমিয়ে দিচ্ছে।