লক্ষ্মীপুরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বাড়ির পুকুরঘাট ব্যবহার করায় জুয়েল হোসেন নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে প্রতিবেশী আবদুল কাদের মাঝি। মঙ্গলবার দুপুরে কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের কাশেম মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জুয়েল কমলনগর উপজেলার চরমাটিন গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আবুল কাশেমের ছেলে অভিযুক্ত আবদুর কাদের মাঝি পাশের চর কালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা। সম্প্রতি নিহত জুয়েলদের বাড়ির পাশে বসতি গড়ে তোলেন। কাশেম ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিদিন দুপুরে জুয়েলদের বাড়ির পুকুরে গোসল করতে যান৷ কিন্তু একই সময়ে বাড়ির নারীরাও ওই পুকুরে গোসল করেন। নারীদের নিরাপত্তার জন্য জুয়েল প্রতিবেশী আবদুল কাদের মাঝিকে ওই পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করেন। এই নিয়ে জুয়েলের সাথে কাদেরের ঝগড়া হয়। পরে জুয়েল বাড়ির পাশের দোকানে যান। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা আবদুল কাদের মাঝি একটি চুরি নিয়ে জনসম্মুখে জুয়েলকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্বার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এসময় অভিযুক্ত আবদুল কাদের মাঝিকে স্থানীয়রা আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে কে বা কারা আবদুল কাদের মাঝিকে বাঁধ খুলে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুর ব্যবহার করার জের ধরে জুয়েল নামে একজনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আবদুল কাদেরকে স্থানীয়রা আটক করলেও কে বা কারা ছেড়ে দিয়েছে তাদেরও চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে। পাশাপাশি মূল আসামি কাদেরকে ধরতে পুলিশ অভিযান চলছে।’