ফরিদগঞ্জে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কার হলো স্কাউট সম্পাদক জিয়া
দুর্নীতির দায়ে উপজেলা স্কাউট সম্পাদকের পদ থেকে বহিঃষ্কার করা হয়েছে জিয়াউর রহমান জিয়া কে। বৃহস্পতিপার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
চলতি বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পূর্বের কয়েকদিন ঈদে ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তি লাগবে সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা স্কাউটস ও রোভার সদস্যদের ইফতার, নাস্তা ও দুপুরের খাবারের টাকা আত্মসাৎ ও অসংখ্য ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরির বিষয়টি প্রমানিত হয়। পরে উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের পদ থেকে জিয়াউর রহমান জিয়াকে বহিষ্কার করে তার স্থলে সাবেক স্কাউট সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটওয়ারী কে দায়ীত্ব দেওয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ তোলা রেদওয়ান খাঁন জানান, ব্যাক্তি বিশেষ নয় বরং আমাদের স্কাউট ও রোভার সদস্যের লড়াই ছিলো দুর্নীতির বিরূদ্ধে। আলহামদুলিল্লাহ সত্যের জয়ের মধ্য দিয়ে কলঙ্ক মুক্ত হলো উপজেলা স্কাউট। আমরা বিশ্বাস করি এর পর আর কেউ স্কাউটিংকে পুঁজি করে দুর্নীতি করার দুঃসাহস করবে না।
সদ্য দায়িত্ব পাওয়া উপজেলা স্কাউটসের সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটওয়ারী জানান, আমাকে যেহেতু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উপজেলা স্কাউটিংকে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করবো৷
উল্লেখ্য: দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্কাউট সভাপতি বরাবর স্মারকলিপির প্রধান করে এবং তদন্ত পূর্বক তাকে অপসারণ ও তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে ৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করে৷ ১১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমানকে তলব করলে দুর্নীতির বিষয় প্রমানিত হয়।