সেক্টর কমান্ডার লেঃ কর্ণেল অবঃ আবু ওসমান চৌধুরী ইন্তেকাল

ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা
আপডেটঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০ | ৯:৫৮
ফরিদগঞ্জ সংবাদদাতা
আপডেটঃ সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০ | ৯:৫৮
Link Copied!

ফরিদগঞ্জের কৃতি সন্তান,মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরীর আর নেই।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

তার ব্যক্তিগত সহকারী আবুল বাশার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অসুস্থ অবস্থায় রোববার দুপুরে আবু ওসমানকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয় বলে তার মেয়ে নাসিমা তারিক জানিয়েছেন।

হারুন হাবীব জানান, ৮৪ বছর বয়সী আবু ওসমান দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার স্মৃতিও লোপ পাচ্ছে।

১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আবু ওসমান চৌধুরী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। ১৯৬৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি পদোন্নতি পেয়ে মেজর হন।

বিজ্ঞাপন

১৯৬০ সালে কুমিল্লার মৌলভী পাড়ার মনসুর আহম্মেদের বড় মেয়ে নাজিয়া খানমের সঙ্গে আবু ওসমানের বিয়ে হয়। নাসিমা ওসমান ও ফাওজিয়া ওসমান তাদের দুই মেয়ে।

একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে যখন ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞ অপারেশন সার্চ লাইট শুরু হয়, সেই খবর আবু ওসমান পান কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে বসে। সে সময় তিনি ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের চতুর্থ উইংয়ের কমান্ডার হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দায়িত্বে।

পরদিন সকালে তিনি কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছান এবং বিদ্রোহ ঘোষণা করে একদল সৈনিককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। পরে তাকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হলে আবু ওসমান চৌধুরী এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদকে গার্ড অব অনার দেন।

তার স্ত্রী নাজিয়া খানমও সে সময় রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে খাবার ও পানীয়, টাকাপয়সা পৌঁছে দেওয়া এবং প্রয়োজনে ওষুধপত্রের ব্যবস্থা করা, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাহারা দেওয়ার মত কাজ করেছেন সাহসিকতার সঙ্গে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আবু ওসমান চৌধুরীকে লেফটেনেন্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু তাকে আর্মি সার্ভিস কোরের (এএসসি) পরিচালকের দায়িত্ব দেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা অভ্যুত্থানের সময় একদল সেনসদস্য আবু ওসমান চৌধুরীকে হত্যার জন্য তার গুলশানের বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে না থাকায় তিনি সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও নিহত হন তার স্ত্রী নাজিয়া খানম।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে আবু ওসমান চৌধুরীকে বিজেএমসির চেয়ারম্যান করা হয়। পরে তাকে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে আবু ওসমান চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে সরকার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
‘মিঠা পানিতে ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে হবে’ দুষ্কৃতিকারীরা রাতে বিদ্যুৎ না থাকার সময়টা বেছে নেন: জেলা প্রশাসক শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো: তানভীর হুদা  এইচএসসি ও সমমানের ফল ১৫ অক্টোবর চাঁদপুরে অবৈধ অস্ত্র’সহ পাঁচ সন্ত্রাসী গ্রেফতার  সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে হবে: জেলা প্রশাসক বিশ্বের শীর্ষ ৫০ প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. ইউনূস মতলব উত্তরে সম্প্রতি সমাবেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা যাবেনা: জেলা প্রশাসক আলাউদ্দিন আরিফ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মনোনীত হয়েছেন  হাজীগঞ্জে ২৯ মন্ডপে হবে দুর্গাপূজা: সভা মঙ্গলবার  অস্ট্রেলিয়ায় সন্তান নিহত হলেও বাবা-মা জানেন হাসপাতালে ভর্তি কচুয়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই যুবকের যাবজ্জীবন প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাময়িক বরখাস্ত সড়ক এখন মরণ ফাঁদ! আমড়া নাকি জাম্বুরা, কোনটি বেশি উপকারী চাঁদপুরে ৪০ টাকায় বিখ্যাত ওয়ান মিনিটের আইসক্রিম ৮-৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণে বিরত থাকার নির্দেশ আন্দোলনে নিহত ১০৫ শিশুর পরিবার ৫০ হাজার টাকা করে পাবে: শারমিন মুরশিদ কচুয়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত  হাজীগঞ্জে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসে আলোচনা সভা