করোনাকালে বাংলাদেশের প্রাপ্তি
পৃথিবীর আতংকিত একটি নাম করোনা ভাইরাস। শত কোটি মানুষ স্তম্ভিত-নিজ গৃহে । বন্ধী শিশু বৃদ্ধ সকল মানুষ। শিল্প কল কারখানাসহ অর্থনীতির সকল চাকাই বন্ধ।
মানুষ আজ বড়ই অসহায়। পৃথিবীর বড় বড় দেশগুলো লড়াই করছে এই অজানা রোগের বিরুদ্ধে, চিন, ইতালি, স্পেন, আমেরিকার মত দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। এই মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সকল সুযোগ সুবিধা উন্নত চিকিৎসা থাকার পরও বাঁচাতে পারছেনা এই মরন থাবা থেকে। শিগগিরই কোন ঔষধ আবিষ্কার হোক এই প্রত্যাশা। মরণব্যাধী মহামারীর করালগ্রাস থেকে মানুষ মুক্তি পাক ।
বাংলাদেশ ও এই মহামারিতে আক্রান্ত। পৃথিবীর অন্যানা দেশগুলোর মত আজ বাংলাদেশে সকল কিছু বন্ধ। মানুষ এক প্রকার গৃহ বন্ধী, যদি ও বাংলার মানুষকে বুঝানো কষ্ট দায়ক হয়ে উঠছে। তবে বাংলাদেশ পুলিশ-সেনা বাহিনী-প্রশাসন সুন্দর ভাবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশ বাহিনী জনগণকে ঘরে থাকা,খাদ্য সামগ্রী সহযোগিতা, করোনা রোগিদের লাশ দাফন, চাল দুর্নীতিবাজ চোরদের ধরার দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগনের এই বিপদ মুহূর্তে মানবতার সেবায় যুগান্তকারী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। যা বিশ্বের অনেকে দেশ নেয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনা জনগনকে বিনামূল্যে চাল বিতরণ, দশ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ সহ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য ৭২৭৫০ কোটি টাকার প্রণোধনা ঘোষণা করেন। যা খুবই কার্যকরী পদক্ষেপ।
জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগনের যারা কর্মহীন রিকশা চালক,ভ্যান চালক,দিন মজুর শ্রমিকসহ এই মহামারিতে কাজ হারিয়েছে তাদের নামের তালিকা করে নিজ একাউন্টের মাধ্যমে এসব ভুক্তভোগীকে টাকা দেওয়া হবে। এই জন্য ৭৫০ কোটি টাকা বাজেট রাখা হয়েছে।
দেশের চিকিৎসা নার্সসহ এই সেবাখাতে যারা থাকবে তাদের বোনাসের জন্য ১০০ কোটি টাকার ঘোষণা করেন। এছাড়াও সরকারি কর্মচারিগন দায়িত্ব পালন কালে যদি আক্রান্ত হন তাহলে পদবিনুযায়ী ৫/১০ লাখ টাকা আর যদি মৃত্যু বরেন তাহলে ২৫/৫০ লাখ টাকা দিবেন।
সরকার ২ কোটি ভুক্তভূগী পরবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন এবং ঈদ উপলক্ষে ৫০ লাখ পরিবারকে বিকাশ, নগদের মাধ্যমে ২৫০০ টাকা বিতরণ হচ্ছে । এছাড়াও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এই বছর বাংলাদেশের সকল গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়া হবে।
প্রিয় নেত্রীর ভালবাসার জন্য এবং এই দেশের প্রতি আন্তরিকতা আজ আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নিজ উদ্যেগে বাংলার আনাছে-কানাছে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করেন। আবার কেউ কেউ স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে অসহায় মানুষের সেবা করছেন।
আজ দেশের ব্যাসায়ী সমাজ, প্রবাসী বিদেশিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবি মানুষ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানবতার সেবায় অসহায় মানুষের পাশে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছে। যারা এই বিপদ মুহূর্তে মানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছেন, তারা স্বরণীয় হয়ে থাকবে।