হার্ট ভালো রাখতে যে চার খাবার বাদ দেবেন
যা কিছু খেতে আমরা পছন্দ করি তার সবই কি স্বাস্থ্যকর? বিশেষ করে আমাদের হার্ট ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক হতে হবে। সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম রিলে লন্ডনের কার্ডিওভাসকুলার সার্জন ডাঃ জেরেমি চারটি খাবার নিয়ে আলোচনা করেছেন। যে খাবারগুলো হার্ট ভালো রাখার খাতিরেই এড়িয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেই চারটি খাবারই আমরা প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনোভাবে খেয়ে থাকি। তবে সব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ এই চারটি খাবার, বিশেষ করে তার তালিকার তৃতীয় আইটেমটি সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করার সাথে একমত হবেন না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, ডাঃ জেরেমি কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন-
১. ফাস্ট ফুড
ফাস্ট ফুড চেইনের বেশিরভাগ খাবারই আসলে কেবল চটকদার। তাতে পুষ্টির কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। হার্ভার্ড হেলথের মতে, হ্যামবার্গার, ফ্রাই এবং চিনিযুক্ত কোমল পানীয় প্রদাহ বৃদ্ধি করতে পারে, যা ধমনী-ক্লগিং প্লেকের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অপরদিকে গবেষণায় দেখা গেছে যে ফল, শাকসবজি প্রদাহ বিরোধী খাবার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. কোমল পানীয়
ডাঃ জেরেমি নিয়মিত কোমল পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। দ্য আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা প্রকাশ করে, যেখানে দেখা গেছে যারা সাপ্তাহিক দু্বারের বেশি চিনিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করেন তারা কার্ডিওভাসকুলার রোগের উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন হন। যারা প্রতিদিন কোমল পানীয় পান করেন তাদের জন্য এই ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পায়।
৩. দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য
আমরাই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী যারা শৈশবকালের পরেও দুধ পান করি, এবং আমরা এটি একটি ভিন্ন প্রজাতির থেকে খাই। তাই এ সম্পর্কে আরেকটু ভেবে দেখুন, এমনটাই বলেন ডাঃ জেরেমি। তবে অন্য অনেক বিশেষজ্ঞেরই দুধ সম্পর্কে মতামত ভিন্ন। হার্ভার্ড হেলথের একটি প্রবন্ধে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে দুধ কি হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে? ডক্টর জোআন ম্যানসন উল্লেখ করেছেন, ফুল ফ্যাট দুধের পরিমিত ব্যবহার স্বাস্থ্যকর খাদ্যের অংশ হতে পারে।
৪. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের জন্য বিষাক্ত, এমনটাই বলেন কার্ডিয়াক সার্জন জেরেমি। এমনকি মাঝারি বা মাঝে মাঝে গ্রহণ করলে তাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আমরা যদি আমাদের মঙ্গলকে অপ্টিমাইজ করার চেষ্টা করি, তাহলে অ্যালকোহল নির্মূল করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। এমনটাই মত দেন ডাঃ জেরেমি।