কোনটায় করোনা মরে বেশি?
এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের কোনও টিকা বা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। তাই পরীক্ষামূলক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি, আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতার উপরেই ভরসা রাখছেন চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ থেকে আম জনতা।
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা আর পরিচ্ছন্নতাই অন্যতম উপায়। আর সে জন্যই বিশেষজ্ঞরা বার বার ভাল করে সাবান দিয়ে হাত, মুখ ধুতে বলছেন।
বাইরে বেরলে নাক, মুখ মাস্কে ঢাকতে বলছেন। যেখানে হাতের কাছে জল নেই সে ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভাল করে জীবাণু মুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই জন্যই সাম্প্রতিক কালে এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। কিন্তু জানেন কি হাত পরিষ্কার আর জীবানুমুক্ত করতে সাবান না হ্যান্ড স্যানিটাইজার-কোনটা বেশি কার্যকর? আসুন জেনে নেওয়া যাক-
১) করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, সোয়াইন ফ্লু, গ্যাস্ট্রোএন্ট্রাইটিসের মতো রোগ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে ছড়ায়। আর সেই সব জীবাণু মূলত ছড়ায় হাত থেকেই। এই সব জীবানু নির্মূল করার ক্ষমতা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নেই। এ ক্ষেত্রে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত, মুখ ধোয়াটাই বুদ্ধিমানেক কাজ।
২) বাচ্চারা খেলাধুলোর পর বাড়ি ফিরলে সাবান দিয়ে হাত-পা, মুখ ভাল করে ধোয়াই ভাল। এ ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার খুব একটা কার্যকর নয়।
৩) হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবানের মধ্যে থাকে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ক্লোরেক্সিডিন নামের একটি উপাদান যা ৪ শতাংশের বেশি হলেই ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
৪) হ্যান্ড স্যানিটাইজার অনেক সময় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে উপকারী ব্যাকটেরিয়াও মেরে ফেলে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৫) বেশির ভাগ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে রয়েছে ‘সিন্থেটিক ফ্রেগরেন্স’ যার রাসায়নিক উপাদান শরীরে সঠিক পরিমাণে হরমোন উত্পাদনে বাধা সৃষ্টি করে।
৬) বেশির ভাগ হ্যান্ড স্যানিটাইজারে মূল উপাদান হল অ্যালকোহল যা ত্বক জীবানুমুক্ত করতে সাহায্য করে। কিন্তু ওই অ্যালকোহলের প্রভাবেই ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।