বঙ্গবন্ধুর খুনি হাজীগঞ্জের রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি

পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট
আপডেটঃ জুলাই ২৫, ২০২০ | ৬:৪৬
পপুলার বিডিনিউজ রিপোর্ট
আপডেটঃ জুলাই ২৫, ২০২০ | ৬:৪৬
Link Copied!

দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার অন্যতম ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী। প্রায় ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত রাশেদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে নতুন করে বঙ্গবন্ধু খুনের অন্যতম এ আসামির আশ্রয়ের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি খুনি রাশেদের আশ্রয়ের মামলাটি নতুন করে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে।

শুক্রবার মার্কিন সাময়িকী পলিটিকো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে রাশেদের আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত পর্যলোচনা করার জন্য নথি চেয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বার। বলা হচ্ছে, এই প্রক্রিয়ার শুরুর হওয়ায় শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের সুযোগ হারাতে পারে বঙ্গবন্ধুর এই খুনি। আর তা হলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। দেশে ফেরত আসলে দণ্ড কার্যকর করা হবে এ খুনির।

শেখ সিটি/ লাকী কূপন

অনেক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ সরকার। মার্কিন কূটনৈতিকদের কাছেও রাশেদকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল বিল বারের এই পর্যালোচনা প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী।

বিজ্ঞাপন

রাশেদ চৌধুরীর আইনজীবী মার্ক ভ্যান ডার হাউট পলিটিকোকে বলেছেন, তিনি বলেন, পরিষ্কারভাবে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের পক্ষ নিয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন কেন তারা এটি করছে?

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পরে ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের রায় কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের দণ্ড কার্যকর হয়নি। এসব ঘাতকদের বিদেশ থেকে দেশে নিয়ে নিয়ে দণ্ড কার্যকর করার জোরালো দাবি জানানো হচ্ছিল।

আনোয়ার আলী মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশে বিচার থেকে খুনি চক্রকে রেহাই দেয় তৎকালীন সরকার। খুনিদের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে চাকরি দেওয়া হয়। রাশেদ চৌধুরীকে জাপানে বাংলাদেশ মিশনে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি আইন বাতিল হলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের পথ খুলে যায়। অভিযুক্তদের বিচার শুরু হয়।

রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান করার পর ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্ব পান।

তিনি নাইরোবি, কুয়ালালামপুর ও ব্রাসিলিয়া দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ওই বছরেই রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন।

তার বাড়ী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রাম।

মাসুদ ইকবাল/ সোহেল

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:

ট্যাগ:

শীর্ষ সংবাদ:
হাজীগঞ্জে জামায়াতের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত মতলবের চরাঞ্চলে ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পারি দিচ্ছে হাজারও মানুষ কুমিল্লা’সহ দেশের ১৮ অঞ্চলে ঝড়ের শঙ্কা হামলার অভিযোগে মতলব উত্তরের আ. লীগ নেতা’সহ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা সারাদেশে দুই লাখ আনসার মোতায়েন হচ্ছে দেশে এখন নির্বাচনের চেয়ে সংস্কার জরুরি: জামায়াত প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বসেছে বিএনপি টানা বৃষ্টিতে ফের ডুবছে নোয়াখালী, পানিবন্দি ১২ লাখ মানুষ হাজীগঞ্জে শিক্ষক দিবসে আলোচনা সভা ও র‌্যালি হাজীগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা মোংলায় ১০ গ্রেড বাস্তবায়নে শিক্ষকদের মানববন্ধন  কচুয়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  চাঁদপুরে বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, হাসপাতালে ভর্তি অর্ধশত  টানা বৃষ্টিতে হাজীগঞ্জে জলাবদ্ধতায় পানি বন্দি মানুষ  চাঁদপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড, জেলাজুড়ে জলাবদ্ধতা হাজীগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে রাজমিস্ত্রির মৃত্যু কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু ব্যারিস্টার টিপুকে হত্যা চেষ্টায় মতলব উত্তরে সাবেক মন্ত্রী পুত্র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা ফরিদগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০৮ শিক্ষার্থীকে পাঠদান দিচ্ছে একজন শিক্ষক দ্বারা! বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া