অ্যালার্জির হলে যা করনীয়
প্রায় লোকেরই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। দিন দিন এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। এ সমস্যার কারণে কারো কারো স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হয়। যাদের এ সমস্যা নেই, তাদের কাছে অ্যালার্জি তেমন একটা গুরুতর ব্যাপার মনে না হলেও, ভুক্তভুগীরা জানেন শরীর আর মন দুটিই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে অ্যালার্জির জ্বালায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।
বিশেষ করে অ্যালার্জির সমস্যা এড়াতে গিয়ে কেউ কেউ আবার এমন সব ভুল করেন যাতে শরীর আরও খারাপ হয়।
যেমন:
এক. অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে অনেকেই ফার্মেসিতে গিয়ে নানারকম ওষুধ কিনে খান। কিন্তু ঠিক কি কারণে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে তা না জেনে ওষুধ খেলে উল্টো ফল হতে পারে। এ কারণে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
দুই. অনেকের ধারণা, ঘরে যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢুকলে ঘর জীবানুমুক্ত থাকে। এজন্য অ্যালার্জির রোগীরাও সবসময় দরজা-জানালা খুলে রাখেন। কিন্তু এর ফলে বিভিন্ন ফুলের পরাগরেণু বা ধূলাবালি ঢুকে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়।
তিন. কোনো কোনো ফল বা সবজি খেলে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। বিশেষ করে মুখে, গলায় চুলকানি, অস্বস্তি দেখা দেয়। কারও আবার এসব খাবার কাটাকাটি করলে, ধুতে গেলে বা রান্না করতে গেলেও অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো।
চার. জুতা, কাপড়, চুলে লেগে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধূলাবালি প্রতিনিয়তই ঘরে ঢোকে। আপনার পোষা প্রাণীর মাধ্যমেও অ্যালার্জি ছড়াতে পারে। এ কারণে যথাসম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা উচিত। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে এসে মাথার চুল ধুয়ে ফেলাটাও জরুরি। কারণ চুলে লেগে থাকা ধূলাবালি বালিশে লাগলে সেই ধূলা লাগা বালিশে ঘুমালে অ্যালার্জির সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
পাঁচ. অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শে নাসাল স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু নাসাল স্প্রে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকেই নিয়ম মেনে চলেন না। নাসাল স্প্রের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নাকের ভেতরের অংশে এবং সাইনাসে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।