রাস্তা সংস্কার না করে ৭ মেট্টিক টন চাউল উত্তোলন
রাস্তা সংস্কারের কাজ না করে প্রকল্পের চাল উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা শাখার দেয়া প্রকল্পটির বরাদ্দ ছিল ৭ মেট্টিক টন চাউল। প্রকল্পের চেয়ারম্যান হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সোনাইমুড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর-৫ নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর বরাদ্দকৃত এই ৭ টন চাউলের বিনিময়ে রাস্তা সংস্কারের কোনো কাজ হয়নি।
খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রকল্পটি সোনাইমুড়ী কমিউনিটি ক্লিনিক হইতে মিজি বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজ। গত ২২ জুন প্রথম কিস্তি ৩.৫ মেট্রিক টন চাল এবং গত ১৮ জুন প্রথম কিস্তির ৩.৫ মেট্টিক টন চাউল উত্তোলণ করা হয়। অথচ গত তিন বছরে ওই রাস্তায় কোনো সংস্কার কাজ হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
আহছান হাবীব বলেন, উক্ত প্রকল্পের কাজ না করে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত চাউল উত্তোলন করা ইউপি সদস্যসহ যারা এই প্রকল্প কমিটিতে রয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতে বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাই।
ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্জ কবির হোসেন মিয়াজী বলেন, প্রকল্পের চাউল উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মাটি আনার ব্যবস্থা না থাকায় কাজ শুরু করতে পারিনি। দুই বারই বরাদ্দের চাউল উত্তোলন করেছি। আমার বুধবার বা বৃহস্পতিবার রাস্তার সংস্কারের কাজ শুরু করবো।
প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক ও সোনাইমুড়ি আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম বলেন, আমরা নৌকার ব্যবস্থা করেছি। কাজ শিগগির করবো।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জাকির হোসাইন বলেন, জুন ক্লোজিং। তাই আমরা দ্রুত বরাদ্দগুলো দিয়ে দিয়েছি। কাজ না করলে ৪৫ দিনের মধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিবো। তিনি আরো জানান, কাজ না করা এমন তিনটি প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো আমাদের নজরধারীতে আছে।