শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের চলে যাওয়ার ৪৪ বছর
শিল্প চিন্তার বিষয় এবং চিন্তার বাস্তব ও অকপট প্রকাশ।
এমন মনন – ভাবনা থেকেই শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারু শিল্পের আবেদনকে আপামর জনতার দ্বারে পৌঁছে দিয়েছিলেন।
শিল্পচর্চার অগ্রনায়ক , পথপ্রদর্শক, বাঙলার প্রকৃতি ও মানুষের চিত্রকর এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৪ তম প্রয়াণবার্ষিকী নীরবে – নিভৃতে চলে গেল গত ২৮ মে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন।
নিষ্ঠুর করোনাকালে শিল্পাচার্যের প্রতি অফুরান আবেগ – শ্রদ্ধা – ভালোবাসা – অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা থাকা স্বত্বেও জাতি অন্যবারের মত এবার জনসমাগম হবে, এই কারণে সীমিত পর্যায়ে স্যারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে।
মূলত তাঁর হাত ধরেই আমাদের চিত্রশিল্প বিকশিত হয়। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন ঢাকা আর্ট কলেজ যা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। এই আর্ট কলেজকে ঘিরেই অতীতে অনেক নামীদামি শিল্পী সৃষ্টি হয় এবং চারুকলা আন্দোলন গণমানুষের মনোজগতে ঢেউ তোলে।
তিনি শিল্প আন্দোলনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর শিল্পকর্ম জগতবিখ্যাত। ১৯৪৩ সালের মহা দূর্ভিক্ষ নিয়ে এঁকেছেন ” দূর্ভিক্ষের রেখাচিত্র “, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুথ্যানের প্রেক্ষাপটে অনেক ছবি এঁকেছেন। ১৯৭০ সালে বাঙলার উৎসব এবং প্রকৃতি নিয়ে ৬৫ ফুট দীর্ঘ ” নবান্ন ” চিত্রকর্মটি আঁকেন। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ” মনপুরা ” নামে হৃদয়স্পর্শী চিত্রটি আঁকেন।
শিল্পাচার্যের কালজয়ী চিত্রকর্ম আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপক সাড়া ফেলে।
মহান শিল্পাচার্যের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে হাজীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ ও উদিচি শিল্পীগোষ্ঠী এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং স্যারের পবিত্র আত্মার শান্তি কামনা করছি।