সবার জন্য উন্মুক্ত করোনা পরীক্ষা
সরকারের অনুমোদন না পেলেও নিজেদের উদ্ভাবিত ‘জিআর র্যা পিড ডট ব্লট’ কিট দিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা শুরু করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। মঙ্গলবার থেকে দুটি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা শুরু হবে।যে কেউ এসে পরীক্ষা করাতে পারবে্।শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনুমোদন তো আমাদের আছেই। তারা তো আমাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের হাসপাতালকেও অনুমোদন দিয়েছে। সেটার বলেই আমরা করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করছি।
রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল এবং সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনার পরীক্ষা শুরু হবে। সবাই সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করাতে পারবেন।এই পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা করে নেয়া হবে। এর মধ্যে অ্যান্টিজেনের জন্য ৪০০ আর অ্যান্টিবডির জন্য ৩০০ টাকা নেয়া হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএসএমএমইউতে গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের যে পরীক্ষা চলছে, তাতে আমার মনে হয় না তারা ঈদের আগে সেটার ফলাফল দিতে পারবে। সেজন্য ঈদের পরে শুরু করছি আমাদের পরীক্ষাটা। আমরা আর অপেক্ষা করব না।
এখনও কিটের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘হাসপাতালের প্যাথলজির পরীক্ষা কী সরকার বাধা দিতে পারবে? অনুমোদন হয়নি, সেটা তারা কোর্টে গিয়ে করবে। আমাদের হাসপাতাল তো ড্রাগের (ওধুষ প্রশাসন অধিদফতরের) অধীনে না। তারা নথি দিলে সরকারকে উত্তর দেব। বিএসএমএমইউর অনুমোদন তো আমাদের আছেই।’
তিনি বলেন, যেকোনো নতুন কিট বা ওষুধকে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গণস্বাস্থ্যের কিটের ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়াল করছে বিএসএমএমইউ।’
তবে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বরুয়া এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্যের মধ্যে নেই। এতটুকু জানি তারা (গণস্বাস্থ্য) কিছু কিট দিয়েছে আমাদের। কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য কমিটি করা হয়েছে। তারা পদ্ধতিগত বিষয়ে কাজ করছে। তাদের কাজ শেষ হলে আমাকে জানাবে। সুতরাং এর বাইরে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্যের মধ্যে আমি নেই।
গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অথবা আইসিডিডিআরবিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। এরপর গত ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।