ঈদের পরের দিন প্রচেষ্টার ভোটযুদ্ধ
ঈদুল আযহার পরের দিন ২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো হাজীগঞ্জ উপজেলার সামাজিক সংগঠন প্রচেষ্টার ভোটযুদ্ধে নির্বাচিত হবে কার্যকরী পরিষদ গঠন করা হবে। গত ১৭ জুলাই শুক্রবার প্রচেষ্টার কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০-২০২১ সালের নির্বাচনের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । এই সংগঠনের মোট সদস্য সংখ্যা ৫৬ জন।
কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত এবং প্রচেষ্টার নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে রয়েছেন শফিউল আলম, আব্দুল মালিক ইমরান ও মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন।
সংগঠনের নেতৃত্ব বাড়াতে এ বছর বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করছেন না।
নিম্নে নির্বাচনী তফসীল তুলে ধরা হলো-
১. নির্বাচনের তারিখ : ২০২০ সালের কোরবানি ঈদের পরের দিন তারিখ ২ আগস্ট ২০২০, রোববার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২. ভোট গ্রহণের সময় : বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা (৭ টার ভিতরে কোনো ভোটার লাইনে অপেক্ষমান থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও ভোট গ্রহণ করা হবে)
৩. সম্মানিত সদস্য এবং উপদেষ্টা মন্ডলী ছাড়া বাকি ১১ টি পদেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যা নিম্নরূপ : সভাপতি, সিঃ সহ সভাপতি, সহ সভাপতি, সাঃ সম্পাদক, সহ সাধঃ সম্পাদক, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, সমাজ কল্যান সম্পাদক।
৪. নমিনেশন পেপার কেনার সময় : ২০ শে জুলাই থেকে ২৯ শে জুলাই ২০২০
৫. নমিনেশন পেপার জমা দানের শেষ তারিখ : ৩০ শে জুলাই ২০২০, , বিকাল ৫ টা
৬. নমিনেশন পেপারের দাম : সভাপতি – ১,৫০০ টাকা, সিঃ সহ সভাপতি – ১,০০০ টাকা , সহ সভাপতি – ১,০০০ টাকা, সাঃ সম্পাদক – ১,০০০ টাকা, সহ সাধঃ সম্পাদক – ৭৫০ টাকা , যুগ্ন সাঃ সম্পাদক – ৭৫০ টাকা , সাংগঠনিক সম্পাদক – ৭৫০ টাকা , কোষাধ্যক্ষ – ৫০০ টাকা , দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক – ৫০০ টাকা , ক্রীড়া সম্পাদক – ৫০০ টাকা , সমাজ কল্যাণ সম্পাদক – ৫০০ টাকা।
৭. নমিনেশন পেপার কেনা যাবে : প্রচেষ্টা নির্বাচন কমিটি থেকে (প্রণয়, বাবুল, সাইফুল ) , বাবুলের দোকান, প্রচেষ্টার কার্যালয়।
৮. নমিনেশন পেপার জমাদান করা যাবে : প্রচেষ্টা নির্বাচন কমিটি এবং নির্বাচন কমিশন, বাবুলের দোকান, প্রচেষ্টার কার্যালয়।
আচরণবিধি:
– কোনো প্রকার প্ররোচনা , টাকা পয়সার লেনদেন, উপহার বিতরণ, শান্তি বিনষ্টকারী এবং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড করা যাবেনা।
– ১ জন সদস্য সর্বোচ্চ ১ টি পদের জন্য নমিনেশন পেপার কিনতে পারবেন।
– নির্বাচনের বুথে কোনো মোবাইল বা ছবি তোলার যন্ত্র নিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা।
– কোনো প্রকার গ্রুপিং করা যাবেনা যেটা প্রচেষ্টার স্বার্থবিরোধী এবং সদস্যদের মাঝে ভাঙ্গন বা তিক্ততা সৃষ্টি করে।
– ভোট গ্রহণের সময় সকল প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিৰ্দিষ্ট জায়গায় বসে থাকবে। কোনো প্রার্থী ভোট গ্রহণের সময় কারো সাথে কোলাকোলি বা ভোট চাইতে পারবেনা অথবা জরুরি কাজ ছাড়া রুমের বাইরে যেতে পারবেনা।
– প্রত্যেক প্রার্থী কমপক্ষে ৩ টি সর্বোচ্চ ৫ টি করে ইশতেহার জমা দিতে হবে
– কোনো পদের জন্য যদি প্রার্থী পাওয়া না যায় তাহলে নির্বাচিত কমিটি ওই সকল শুন্য পদের জন্য সিলেকশনের মাধ্যমে পূর্ণাজ্ঞ কমিটি গঠন করবে , তবে কোনো পদে একজন মাত্র প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা প্রতিতদ্বন্দীতায় নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।
কারা প্রচেষ্টার নির্বাচন করতে পারবেন :
১. প্রচেষ্টার সদস্য যার কোনো টাকা, চাঁদা বা অন্য কোনো দেনা প্রচেষ্টার কাছে বাকি নাই।
২.নমিনেশন জমাদানের সময় সর্বশেষ চাঁদার রশিদ সাথে জমা দিতে হবে বা দেখাতে হবে বা কোষাধক্ষ সেটার প্রমাণ নিশ্চিত করবে । কোনো প্রকার টাকা প্রচেষ্টার কাছে বাকি থাকলে নমিনেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
৩. প্রচেষ্টার সদস্য যার নুন্যতম ১ জন সমর্থক আছে।
(প্রচেষ্টার যেকোন আপডেট খবর পেতে পপুলার বিডিনিউজ ডটকমের লাইক পেইজে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন)