হাজীগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে যুবলীগের দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা করোনা প্রতিরোধে ২১৮০ জন স্বেচ্ছাসেবীর তালিকা প্রস্তুত করে রেখেছন।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ২০ স্বেচ্ছাসেবীর নাম তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় নেতাকর্মীরা মানবিক সেবায় এগিয়ে আসার প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০৯ টি ওয়ার্ড থেকে ২১৮০ জনের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে যে কোন দুর্যোগে মানবতার সেবায় এগিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
এদিকে মহামারী করোনা ভাইরাস এর শুরু থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নানান কার্যক্রমে অংশ নেয়। মানবিক সেবা সহায়তায় হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নির্দেশ মোতাবেক ৯ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় উপজেলা যুবলীগ সুষ্ঠুভাবে বন্টন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের জন্য সাবান, দুইশ মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার দেয়া হয়।
তারপর কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩’শ অসহায় ও প্রতিবন্ধী পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে দেয়া কর্মসূচিতে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
গত কয়েক মাসে করোনাকালীন সময় দেখা গেছে, উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবলীগ সামর্থ্য অনুযায়ী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খান রনি, যুগ্ম আহবায়ক বাবু, ৩নং কালচোঁ ইউনিয়নের সভাপতি শফিক, সাধারণ সম্পাদক কামরুল, ৪নং কালচোঁ ইউনিয়নে আহবায়ক শ্যামল, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ, ৬নং বড়কুল ইউনিয়নের সভাপতি ইসহাক, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, ৫নং সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.ইউছুফ প্রধানীয়া সুমন, ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন লোটাস, সাধারণ সম্পাদক আবু নছর সুমন, ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের আহবায়ক এএসএম রাসেল মজুমদার, যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন, ৯নং গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের সভাপতি মুনছুর আহম্মেদ বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক হাবিবসহ আরো অনেকেই সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড এবং ত্রাণ সামগ্রীর কাজে আংশ নেয়।
এ বিষয়ে ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন লোটাস বলেন, উপজলা যুবলীগের নির্দেশ ও পরামর্শ আমরা সামর্থ্যনুযায়ী করোনাকালীন সময়ে ত্রাণ সামগ্রীসহ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করছি।
৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক এএসএম রাসেল মজুমদার পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, করোনাকালীন সময়ে শুরু থেকে সচেতনতামূলক কাজে ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে যুবলীগ কর্মীরা নিয়োজিত। সামর্থ্যনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রীও দেয়া হয়েছে।
২নং বাকিলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম রনি পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কের পরামর্শ এবং নির্দেশক্রমে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়।
৫নং সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো.ইউছুফ প্রধানীয়া সুমন বলেন, সদর ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম। সামর্থ্যনুযায়ী প্রতিটি গ্রামে খাদ্য উপহার সমাগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল পপুলার বিডিনিউজ ডটকমকে বলেন, করোনাকালীন সময়ে হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের দায়িত্ব থাকা নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নেয়া এবং সংসদ সদস্যদের পরামর্শ অনুযায়ী মানবতার সেবায় নিজেরা প্রস্তুত ছিলাম এবং কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেছি। এছাড়াও কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০ জন করে স্বেচ্ছাসেবী তালিকা তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আট জনের মৃতু হয়েছে। আক্রান্তর সংখ্যা ৪২ জন।